ক্ষমতায় থাকার জন্য সরকার দেশকে ভয়ংকর বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেছেন, সরকার একদিকে ফিলিস্তিনের জন্য মায়া কান্না করছে, অন্যদিকে দেশকে ফিলিস্তিন বানিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পাসপোর্ট থেকে ইসরায়েল ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা তুলে দিয়েছে।
ইসরায়েল থেকে ১২০ কোটি টাকার গোয়েন্দা নজরদারি যন্ত্রপাতি কিনেছে। একদিকে মদিনা সনদে দেশ চালানোর কথা বলছে, নৌকাকে নূহ নবীর নৌকার দাবি করছে, অন্যদিকে পশ্চিমা সমর্থন পেতে ট্রান্সজেন্ডার, সমকামিতাকে প্রমোট করছে।
এভাবে তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা, ধোঁকাবাজি করে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে নুর বলেন, একতরফা সাজানো নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে লেজকাটা শিয়াল হবেন না। পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধান অপকর্মের দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। আপনারা কেন সে অপকর্ম করে তাদের মতো নিষেধাজ্ঞায় পড়বেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তিকেই পুলিশ প্রধান, র্যাব প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে সরকার আমেরিকার সাথে খেলছে।
সরকারের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড গোটা দেশকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমাদের এই আন্দোলন চলছে, ধারাবাহিকভাবে চলবে। আন্দোলনের কিছু ধাপ রয়েছে আমরা সেই ধাপ অনুসরণ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এই আন্দোলন সফল হবে। সহিংসতা নয়, জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা গণঅভ্যুত্থানের দিকে এগিয়ে যাবো। গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম ফাহিম, আব্দুজ জাহের, এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, জসিম উদ্দিন আকাশ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, মাহফুজুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসালম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা সম্পদ প্রমুখ।