শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার খাড়া পাহাড়ের টিলা কেটে বসতঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এতে একদিকে যেমন ধ্বংস হচ্ছে ভূমি। অন্যদিকে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। ১নং সিংগাবরুনা ইউনিয়নের বাবেলাকোনা, হারিয়াকোনা ও চান্দাপাড়া এলাকায় এখন দেখা যায় এসব বসতঘর নির্মাণ করছে স্থানীয়রা। সম্প্রতি সরেজমিনে গেলে দেখা যায় এমন চিত্র।
জানা যায়, প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সীমান্ত এলাকা। এখানে রয়েছে কোচ, হাজং, বানাই, মার্গান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বসবাস। কিছুদিন আগেও উচুঁ উচুঁ পাহাড় ছিলো। কিন্তু এখন পাহাড় কেটে তৈরি করছে বসত বাড়ি। সূত্র জানায়, একটি চক্র পাহাড় দখল করে পাহাড়ের টিলা কেটে বসত বাড়ি নির্মাণের উপযোগী করে অন্যত্র বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। দিনের পর দিন যেভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে; এতে সীমান্ত এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা বাড়ছে। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধ্বংসে শঙ্কা রয়েছে।
চান্দাপাড়া গ্রামের মৃত মোজাফফর আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী বলেন, আমরা গরীব মানুষ জায়গা সম্পত্তি নাই, তাই পাহাড় কেটে ঘর নির্মাণ করেছি। শুধু আমি না এখানে অনেকেই পাহাড় কেটে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছে।
১নং সিংগাবরুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. রেজ্জাক মজনু বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক।
সহকারি বন সংরক্ষক প্রান্তোষ রায় বলেন, পাহাড় কাটা ঠিক নয়। তবে কেউ বসত বাড়ি নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেঁজুতি ধর শেরপুর টাইমসকে বলেন, পাহাড় কাটা নিষিদ্ধ। পাহাড় কেটে কেউ বসত বাড়ি নির্মাণ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।