শেরপুরের শ্রীবরদীতে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামী মোঃ সুমন আহম্মেদ (২৪)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪। রোববার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে, রোববার বিকেলে গাজীপুরের বাসন থানার শহীদ রওশন সড়ক সংলগ্ন এলজিইডি ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সুমন জামালপুর সদরের হাজীপুর এলাকার মৃত তোতা মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর সে আত্মগোপনে ছিল।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সুমন আহম্মেদ ও ভিকটিমের মধ্যে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে সুমন ভিকটিমকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গত ১২জুন রাত ১টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার খোশালপুর পুটল এলাকার জনৈক আলমগীরের টিনের ঘরের ভেতরে নিয়ে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে সুমন আহম্মেদ, জাহিদ ও আকরাম মিলে দলবেঁধে ধর্ষণ করে কৌশলে পালিয়ে যায় তারা।
পরে ২৩ জুন ভিকটিম বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় মামলা করে। মামলার পর পুলিশ পুটল গ্রামের আকরাম (৩৫) ও জাহিদ (২৪)কে গ্রেপ্তার করে। তবে পলাতক থাকে মামলার প্রধান আসামী সুমন আহম্মেদ।
এদিকে, ঘটনার পর থেকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রাখে। অবশেষে ৩ জুলাই বিকেল চারটার দিকে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গাজীপুরের বাসন থানার শহীদ রওশন সড়ক সংলগ্ন এলজিইডি ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন, এ ধরণের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আবু সাঈম বলেন, মামলার পর দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার র্যাব মামলার প্রধান আসামীকেও গ্রেপ্তার করে।