শেরপুরের শ্রীবরবদীতে ছেলের দায়ের কোপে বাবা সিরাজুল ইসলাম (৭০) গুরুতর আহত হয়েছে। ১৪জুলাই শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দিয়ারচর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজুল ইসলামকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে।
আহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সিরাজুল ইসলামের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে সবুজ মিয়া ও ছোট ছেলে সালমান মিয়া। বাবার জমি সমানভাবে ভাগ করে দেয় সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু তাতে সমানভাগ নিবে না বলে দাবী করে ছোট ছেলে সালমান। এরই জের ধরে বাবা ছোট ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার দায়ে ছোট ছেলে একমাস জেল হাজতে থাকে। সম্পতি সে জেল হাজত থেকে বের হয়ে তার নিজ গ্রামে আসে। পরে বাবা-মার ওপর নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি ছাড়তে বলে। এতে বাবা-মা বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়। আজ শুক্রবার বাবা-মা বাড়িতে আসলে তাদের ওপর ক্ষেপে যায় সালমান এবং ঘর থেকে রামদা নিয়ে বাবা সিরাজুলের ওপর আক্রমন করে বাম পা ও দু’হাতে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর আহত অবস্থায় সিরাজুলকে প্রথমে শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে শেরপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিরাজুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এদিকে ছোট ছেলে সালমান এখনো পলাতক রয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এখনো কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।