শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর খাতা উধাওয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা চারজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একইসাথে কেন্দ্র সচিব বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার আয়শা আইন উদ্দিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রের ১৫নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই বাদী হয়ে কেন্দ্র সচিব সাধারণ ডায়েরি করেন।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রের ১৫নং কক্ষে ৭৯ জন্য শিক্ষার্থী ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শকরা সহকারী কেন্দ্র সচিবের কাছে ৭৯টি ওএমআর শিট জমা দিলেও খাতা জমা দেন ৭৮টি।
কেন্দ্রটিতে দায়িত্ব পালন করেন বানিবাইদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মারুফা আক্তার, সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার ও গোপালখিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক কারিমা খাতুন।
পরীক্ষার্থীর খাতা হারানোর বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের মাঝে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। তবে, কোন পরীক্ষার্থীর খাতা হারিয়েছে তা জানা যায়নি।
কেন্দ্রের সহকারী সচিব বানিবাইদ এএএমপি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, যে শিক্ষকের ডিউটি ছিলো, তিনি পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাই শিক্ষক না থাকায় অফিস সহকারী মাছুদা আক্তারকে দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করানো হয়।
কেন্দ্র সচিব সাইফুল ইসলাম বলেন, খাতা হারানোর বিষয়টি জানার পর আমরা ওই কেন্দ্রের দায়িত্বরত চারজনকে অব্যাহতি দিয়েছি। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি।
একজন অফিস সহকারী কীভাবে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। ওই কেন্দ্রের সহকারী কেন্দ্রসচিব আমাকে লিখিত দিয়েছিলেন যে, তিনি (অফিস সহকারী মাছুদা আক্তার) একজন সহকারী শিক্ষক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১৫নং কক্ষে থাকা চারজনকে এসএসসি পরীক্ষার পরবর্তী সকল কার্যক্রম থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। তাদের নামে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এছাড়া বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রে মোবাইল ব্যবহার করায় একইদিন আরও পাঁচ শিক্ষককে দুই বছরের জন্য এসএসসি পরীক্ষার সকল কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।