পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ ধাপে অনুষ্ঠেয় শেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ আগামী ১৪ অক্টোবর। এ বছর
প্রথমবারের মতো ভোট গ্রহণ করা হবে ইভিএমে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা জমে উঠলেও ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে তেমন উত্তেজনা নেই। তবে ইভিএমে ভোট দেওয়া নিয়ে ভোটারদের মধ্যে কিছুটা কৌতূহল দেখা গেছে।
এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৫ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এরা হলেন শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম (নৌকা), শেরপুর জেলা যুবদলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মাসুদ (ধানের শীষ), শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াস উদ্দিন (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল (মোটরসাইকেল) ও পদত্যাগী ভাইস চেয়ারম্যান বায়েযীদ হাসান (আনারস) করছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রফিকুল ইসলামের নির্বাচন পরিচালনার জন্য মূল কমিটি এবং পৌরসভাসহ উপজেলার ১৪০টি ভোট কেন্দ্রের জন্য আলাদা কমিটি করা হয়েছে।
বিএনপির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মাসুদের নির্বাচন পরিচালনার জন্য পুরোদমে কাজ শুরু না হলেও তাদের কার্যক্রমও এগুচ্ছে। পোস্টার ও মাইকের পাশাপাশি খন্ড খন্ড পথসভাও হচ্ছে। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইলিয়াছ উদ্দিনের মাইকিং ও পোস্টার প্রচারণাসহ কেন্দ্রে কেন্দ্রে কমিটি গঠনের চেষ্টাও চলছে। একইভাবে চলছে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনহাজ উদ্দিন মিনাল ও বায়েযীদ হাছানের প্রচারণা।এদিকে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন শেরপুর সদর উপজেলা কৃষক লীগ সভাপতি আল হেলাল (টিউবওয়েল), সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মনোয়ারুল ইসলাম (চশমা), চেম্বার অব কর্মাসের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোছা মিঞা (মাইক), শ্রমিক নেতা জুলহাস উদ্দিন (উড়োজাহাজ) ও আশরাফুল আলম মিজান (তালা)।
এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন বিদায়ী ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীম আরা বেগম (হাঁস) ও শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা (কলস) প্রতিক নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছন।।
শেরপুর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬১ হাজার ২৮২ জন।