শেরপুরে বেলাল হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।এ ঘটনায় অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আরো তিনজনকে খালাস দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার দুপুরে শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোসলেহ্ উদ্দিন এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল গ্রামের শাহআলীর ছেলে তারা মিয়া, একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ফজলু এবং টাগরা শেখের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টোপা।
আদালত নথি সূত্রে জানা গেছে , দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের সাথে ঝিনাইগাতী নওকুচি গ্রামের ইমান আলীর পরিবারের বিয়ে সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পারিবারিক শত্রুতা চলছিল। এরই জের ধরে ২০০৫ সালের ১০ এপ্রিল দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ফজলুর সাথে জামতলী নামক স্থানীয় বাজারে কথাকাটাকাটি হয় ইমান আলীর। সে সময় ইমান আলীকে দেখে নেওয়ার হুমকি প্রর্দশন করে আসামীরা চলে যায়।
পরে ১০/০৪/০৫ তারিখ দিবাগত রাত থেকে ইমান আলীর ছেলে বেলাল হোসেন নিখোজঁ হয় পরে ১৪/০৪/০৫ তারিখে বাগের ভিটা ও বিলাসপুর গ্রামের মধ্যবর্তী মরা পাগলা নদীর পশ্চিমে জৈনক লিটনের ধান ক্ষেতে নিহত বেলালের লাশ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ওই ঘটনায় ভিকটিম বেলাল হোসেনের বাবা ইমান আলী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে ঝিনাইগাতী থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে আসামীদের গ্রেপ্তার করা হলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তারা।
একই বছরের ১৫ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ঝিনাইগাতী থানার এসআই এস এম শাহাদত হোসেন । মামলার দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় বাদী, আসামির জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট, চিকিৎসকসহ ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ সন্দোহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হলো।