শেরপুরে পুড়াতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানির বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত শেরপুর-জামালপুর সড়কের কজওয়ের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জামালপুরসহ উত্তরাঞ্চলের সাথে।
এতে সদর উপজেলার কামারেরচর, চরপক্ষমারী ও বলাইয়েরচর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম পানি প্লাবিত হয়েছে। চরমোচারিয়া ও চরশেরপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামেও পানি ঢুকেছে। এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কের পোড়ার দোকান এবং শিমুলতলীতে দুটি কজওয়েতে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শেরপুরের সাথে যমুনা সারকারখানাসহ উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকার পাটের আবাদ ও আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পানির নীচে তলিয়ে গেছে সবজীর আবাদ। চরপক্ষীমারীর কুলুরচর ব্যাপারী পাড়া ও নতুন চরের তিন শতাধিক পরিবার জামালপুর শহর রক্ষা বাঁধে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আল মামুন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে শনিবার পর্যন্ত ১২ মেট্রিক টন চাল বন্যার্তদের মাঝে বিতরন করা হয়েছে। এরমধ্যে চরপক্ষীমারী ও কামারের চর এই দুই ইউনিয়নে ৬ মেট্রিন করে চাল বিতরন করেছি। তিনি আরো জানান, খবর আসছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে এজন্য সরকারের কাছে আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।