শেরপুরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানির বৃদ্ধি পেয়ে সদর উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। শনিবার বিকাল ৩টার রেকর্ড অনুযায়ী ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমা ছুই ছু্ই । বিপদসীমা ১৭ সেন্টিমিটার হলেও বর্তমানে পানি প্রবাহিত হচ্ছে ১৬.৯৯ সেঃ মিঃ লেভেলে।
উপজেলার কামারেরচর, চরপক্ষমারী ও বলাইয়েরচর ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরমোচারিয়া ও চরশেরপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামেও পানি ঢুকেছে। এতে করে এসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।
শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক সড়কের পোড়ার দোকান ও শিমুলতলীতে দুটি কজওয়েতে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে শেরপুরের সাথে যমুনা সারকারখানাসহ উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শেরপুর-জামালপুর সড়কের কজওয়ের পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে।
পাটের আবাদ ও আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। পানির নীচে তলিয়ে গেছে সবজীর আবাদ। চরপক্ষীমারীর কুলুরচর ব্যাপারী পাড়া ও নতুন চরের তিনশতাধিক পরিবার জামালপুর শহর রক্ষা বাধে ও স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ইউনিয়নে ৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।