শেরপুরে ৫ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ নেতা-কর্মী গ্রেফতারের জেরে সোমবার রাত ৯ টায় শহরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ-পরিচালকের গাড়িসহ বেশকয়েকটি ইজিবাইক ভাংচুর করেছে বিক্ষুব্ধরা।
এদিকে এ ভাংচুরের ঘটনায় জেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল ভাংচুরের ঘটনার সাথে বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীর সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ শহরে অতিরিক্ত টহল অব্যাহত রেখেছে। একই সাথে ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে।
জানাগেছে, সোমবার বিকেেল শহরের মাধবপুরস্থ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলীর বাসা থেকে সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এসময় তার বাসায় জেলা আইনজীবী সমিতি’র নির্বাচনের প্যানেল গঠন নিয়ে দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের বৈঠক চলছিল বলে বিএনপি দাবী করলেও পুলিশ জানায় তারা নাশকতা সৃষ্টি’র জন্য মিটিং করছিল। পরে বিকেলেই ওই বিএনপি নেতাকে বিস্ফারক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায়।
এদিকে সোমবার রাত ৯ টার দিকে শহরের রঘুনাথ বাজার মোড় থেকে ১০ থেকে ১২ জনের এক দল বিক্ষুব্ধ মানুষ লাঠি-সোটা নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ইজিবাইক এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার উপ পরিচালকের সরকারী গাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
পরে পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছায় এবং শহর জুড়ে পুলিশি টহল বৃদ্ধি করে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাসী করেন। এসময় কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এদিকে শহরে ভাংচুরের খবরে জেলা ছাত্রলীগ একটি শান্তি মিছিল বের করে শহর প্রদক্ষিণ করে। ভাংচুরের ঘটনায় এবং পুলিশের তৎপরতার আতংকে শহরের অধিকাংশ দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে রাতে আরো নাশকতা ঠেকাতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।