শেরপুরে মো. কামরুল হাসান (৩৮) নামে ফায়ার সার্ভিসের এক ভুয়া কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার বিকেলে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কানাশাখোলা বাজার এলাকা থেকে সদর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
রোববার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। কামরুল নকলা উপজেলার চকজানকিপুর পাটাকাটা গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
এ ঘটনার পর শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা রোববার বিকেলে কানাশাখোলা বাজারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ফায়ার সার্ভিসের ভুয়া পরিচয়দানকারী প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকার পরামর্শ দেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে কামরুল সদর উপজেলার কানাশাখোলা বাজারের মেসার্স আয়াত ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড গ্যাস হাউসে যান। এ সময় তিনি নিজেকে ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নাজমুলের কাছে ফায়ার লাইসেন্স দেখতে চান। ম্যানেজার নাজমুল ফায়ার লাইসেন্সটি কামরুল হাসানকে দেখান।
এ সময় কামরুল মূল ফায়ার লাইসেন্সটি হাতে নিয়ে এটি নবায়ন করে দেওয়ার কথা বলে নাজমুলের কাছ থেকে ৯০০ টাকা নেন। এছাড়া আরও ৪০০ টাকা যাতায়াতের জন্য দাবি করেন। এ সময় তাঁদের সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পর প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আ. রহিম রনি আসেন।
কামরুলের কথা–বার্তায় তাঁর সন্দেহ হলে তিনি শেরপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালককে ফোন দেন এবং কামরুল নামে কোনো কর্মকর্তাকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে কি না, জানতে চান। এ সময় কামরুল হাসান নামে শেরপুর ফায়ার সার্ভিসে কোনো কর্মকর্তা নেই বলে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে কানাশাখোলা বাজারের লোকজন কামরুলকে আটক করেন। সংবাদ পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বসির আহম্মেদ বাদল বলেন, এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মো. আ. রহিম রনি গ্রেপ্তার কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেছেন। তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।