শেরপুরের নকলা উপজেলাধীন ৫০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৬৮ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বিনিময়ে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা করছে সরকার। উপজেলায় ১১৩ টি সরকারি এবং ২৭ টি সরকারি করনের প্রক্রিয়াধীন বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে ৫০ টিতে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর’র পিইডিপি-৩ এর ওয়াশ ব্লক প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি করে সাব মারসিবল পাম্পযুক্ত নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে।
নকলা উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, ৫২০ ফুট গভীরতার মধ্যেই শতভাগ পানি নিরাপদ পাওয়া যায়। পর্যায়ক্রমে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওইসব নলকূপ স্থাপন করা হবে। প্রতিটি স্থাপন করতে ১৮ হাজার ৫০০ টাকায় ঠিকাদারী নেওয়া ছাইদুল বলেন, নকলা উপজেলার নিচের মাটি খুব ভালো থাকায় সবকয়টি নলকূপ ৫২০ ফুট গভীরতায় করা হয়েছে। উপজেলার একমাত্র অষ্টম শ্রেণিতে উন্নতি করণ পাইলট প্রকল্পের আওতায় বানেশ্বরদী উত্তর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আজহারুল ইসলাম ফিরুজ বলেন, এই নলকূপটি স্থাপন হওয়ায় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ পানি পাবে এটা শিশু শিক্ষার্থীদের পানিবাহিত রোগ থেকে নিরাপদে রাখতে জাতির জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।
তবে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনীম জাহান দিপা সহ তার সাথে থাকা সহপাঠীরা জানায়, শিক্ষা বান্ধব সরকার শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুবিধা বিবেচনায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তত একটি করে টু-ইন লেট্রিন স্থাপনের ব্যবস্থা করলে আমরা মেয়ে শিক্ষার্থীরা খুব উপকৃত হতাম। শিশু শিক্ষার্থীদের মতো করেই বলছেন শিক্ষানুরাগী মহল।