গেল শনিবার শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচীতে অংশ নিতে আসা একটি মিছিলে হামলা চালিয়েছে সেই দলেরই অপর একটি অংশের নেতাকর্মীরা। এসময় মমেনা সাইকেল স্টোর ও পাকের ঘর নামের একটি রেস্টোরেন্টে হামলা ও ভাংচুর করেছে স্বেচ্ছা সেবক দল ও ছাত্রদলের একটি অংশের নেতা-কর্মীরা এমন অভিযোগে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২৭ আগষ্ট বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শেরপুর সদর উপজেলা বিএনপির কর্মসূচীতে অংশ নিতে জেলা বিএনপির সহসভাপতি এসএম শহিদুল ইসলাম ও চরশেরপুর ইউনিয়ন বিএনিপর নেতৃবৃন্দের নেতৃত্বে একটি মিছিল শেরপুর সরকারী কলেজের কাছে আসলে ওই দলের বিবদমান একটি অংশের নেতা কর্মীরা মিছিলটিতে হামলা চালায় ।এসময় অন্তত ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
একই সময় এসএম শহিদুল ইসলামের শ্যালক এ আরএম মুহিতুজ্জামান মেননের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মমেনা সাইকেল স্টোর ও পাকের ঘর নামের একটি রেস্টোরেন্টে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় সাবেক ছাত্রনেতা মবিনুজ্জামান মিল্টন ও এ আরএম মুহিতুজ্জামান মেননসহ ৫জন আহত হয়।
পরে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাসান আনন্দ ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কামরুল হাসানসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যপারে ব্যবসায়ী এ আরএম মুহিতুজ্জামান মেনন জানান, আমি নিজে কোন রাজনীতি করিনা। আমি ব্যবসা করে জীবন নির্বাহ করি। আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবী করছি।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে আমরা কোন বিশৃঙ্খলা সহ্য করবোনা।