নাঈম ইসলাম: ঈদে চাই-ই-চাই নতুন পোশাক। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে শেরপুরে ঈদ বাজার ততই জমে উঠছে। তাইতো ঈদকে সামনে রেখে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বিপণী বিতানগুলোতে বেচাকেনা। সব শ্রেণির আয়ের মানুষেরা রুচির সাথে সামর্থ্য বুঝে সাধ্য মত কেনাকাটা করছেন। শেরপুরে টাউন হল মার্কেট, নিউ মার্কেট, নয়ানী বাজার, খরমপুর, তেরা বাজারের মার্কেটগুলো এখন বেলা ১১ টা থেকে রাত পর্যন্ত চলছে বেচাকেনা।
এবার ঈদ যেহেতু গরমে, তাই জামাকাপড়ের মধ্যে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে সুতি কাপড়। দেশীয় ব্যান্ডের কাপড়ের পাশাপাশি ভারত ও পাকিস্তানের হরেক নামে বিক্রি হচ্ছে বাহারি পোশাক পছন্দের পোশাকের সাথে মিল রেখে জুতা কিনতে সু-স্টোর গুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। রমজানের প্রথম দিকে তেমন বেচা-বিক্রি ভালো না হলেও এখন বেচাকেনা শুরু হয়েছে।
মার্কেটগুলো ঘুরে দেখা যায়, সূতি কাপড়ের পাশাপাশি মহিলা ক্রেতাদের আকর্ষণ বাহারী নামের পোশাকে। লেহেঙ্গা, ঘাগড়া, ফোর পিস, থ্রি পিস নামের পোশাকের কদর বেশি দেখা গেছে। প্রকার ভেদে বিক্রেতারা এসব পোশাক বিক্রি করছে পনের’শ টাকা থেকে আট হাজার টাকায়। প্যান্ট, শার্টের পাশাপাশি তেরাবাজারের বাহারী ডিজাইনের পাঞ্জাবীর দোকানে ভিড় করছেন পুরুষ ক্রেতারা। তবে এবছর পোশাকের দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। বিক্রেতাদের দাবি দাম রয়েছে ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই।
শহরের সজবরখিলা এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ আফসানা আক্তার জুঁই বলেন, ঈদের সময় টেইলার্সের দোকানে অনেক ভিড় থাকে। তাই পছন্দের কাপড় এক্ষুনি নিয়ে নিলাম। ছোট্ট সোনামণি নিয়ে ঈদ বাজার করতে শ্রীবরদী উপজেলার রাজন-শাম্মী দম্পতি বলেন, মার্কেটে ঘুরে ঘুরে পছন্দের জামা-কাপড়, জুতা দেখছি। এখনো কিছু কেনা হয়নি। পছন্দ হলেও দাম কিছুটা বেশি চাচ্ছে দোকানদাররা।