
শেরপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস।

তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার চরমুচারিয়া, চরপক্ষীমারীর কলুরচর ও পাকুড়িয়া এলাকায় নির্মাণাধীন ঘরগুলো পরিদর্শন করেন। ওইসময় ঘরের নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ও মান দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেইসাথে তিনি উপকারভোগীদের সাথেও কথা বলেন এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।
ঘরের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ পারভীন, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তনিমা আফ্রাদসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২৯১টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হয় ১৬৭টি ঘর। এগুলোর প্রতিটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১ লক্ষ ১৯১ হাজার টাকা। বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে আরও ১৬৯টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হচ্ছে। এগুলোর প্রতিটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে। ২ শতাংশ জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি ঘরে থাকছে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। সুবিধাভোগীদের এসব ঘরসহ জমি কবুলিয়াত করে দেয়া হবে। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোকে আরও মজবুত করতে ব্যয় বাড়িয়ে লিংটেন ও বারান্দায় পিলার করে দেওয়া হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে জানান, সদর উপজেলায় তৃতীয় পর্যায়ে ৫০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। এর আগে দুই ধাপে উপজেলার আরও ৮৫ টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ শ্যামলবাংলা২৪ডটকমকে বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় জেলার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তৃতীয় ধাপে আরও ১৬৯টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করা হচ্ছে। আগামী মার্চ মাস নাগাদ ঘরগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে বলে আশা করছি। এর আগে আরও ৪৫৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।