কেউ রিকশাচালক, কেউ দিনমজুর আবার কেউ ক্ষেতে-খামারে কাজ করেন। কিন্তু এই পরিচয়টা আপাতত বাদ তাদের! নতুন পরিচয় ‘কসাই’। তবে এই পরিচয় তারা বহন করবেন সাকুল্যে ২৪ ঘণ্টা। এরপর আবার ফিরে যাবেন নিজ নিজ পেশায়।
‘মৌসুমী’ এই কসাইদের কদর বেড়েছে শেরপুরে। শুধু শেরপুর নয় সারা দেশেই আজ ঈদুল আযহার দিনে কুরবানীর চাহিদা মেটাতে কদর বেড়েছে মৌসুমী এসব কসাইয়ের। পেশাদার কসাইদের সিডিউল না পাওয়ায় অনেকেই এখন ভরসা করছেন মৌসুমী কসাইয়ের উপর।
শেরপুর জেলা শহরসহ পাঁচ উপজেলায় কোরবানির ঈদ ঘিরে অন্তত পাঁচ শতাধিক অপেশাদার কসাই ভোর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতি ১০ হাজারে ১ হাজার টাকা হিসেবে গরুর চামড়া ছাড়ানো থেকে শুরু করে মাংস বানানো পর্যন্ত চুক্তি নিচ্ছেন তারা।
বনিবনা হলেই দা, চাপাতি, ছুরির ব্যাগ হাতে ছুটছেন। আবার তাদের হাতে সময়ও নেহায়েতই কম। একসঙ্গে একাধিক গরু বানানোর অর্ডার থাকায় দম ফেলারও সুযোগ নেই যেন! বুধবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেলো এমন চিত্র।
জানা যায়, প্রতি ঈদুল আজহায় জেলায় যে পরিমাণ পশু কোরবানি হয় সেই তুলনায় পেশাদার কসাই মেলে না। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কসাই মিললেও তাদের দরদাম অনেক বেশি। ফলে ঈদের দিনটিতে তুঙ্গে থাকে মৌসুমী বা একদিনের কসাইয়ের চাহিদা।
সদর উপজেলার করিম মিয়া এমনিতে ক্ষেত মজুরের কাজ করলেও কদরের কথা ভেবে মৌসুমী কসাইয়ের খাতায় নাম লিখিয়েছেন।
চল্লিশ বছর বয়সী রতন মিয়া জানান, তিন থেকে চারটি গরু বানাতে পারলেই একদিনে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। হাতে অনেক কাজ আছে। একটির পর একটির কাজ শুরু করতে হবে।