আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছেন। তার মেয়ে শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে দেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে মা সন্তান জন্ম দেয় সে সন্তানের ভাল চায়, আর সৎ মা মুখে আদর করে আর পিছনে চিমটি কাটে। যারা এতিমের টাকা চুরি করে, দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করে তারাই হলেন সৎ মা।
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আজকে সিংগাপুরকে ছাড়িয়ে যেতো উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ২০০১ সালে ষড়যন্ত্র করে যদি আওয়ামী লীগকে পড়াজিত করা না হতো তাহলেও দেশ আজ অন্যরকম হতো।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) শেরপুরের নকলা উপজেলায় দিনব্যাপী কম্বল বিতরণের অংশ হিসেবে পাঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষক- শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম ও আলেমদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির কঠোর সমালোচনায় মুখর মতিয়া জিয়াকে পাকিস্তানের এজেন্ট উল্লেখ করে বলেন, অবৈধ প্রেসিডেন্ট জিয়া প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল শাহ আজিজকে। যিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জাতিসংঘে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে সাক্ষী দিয়েছিল। জিয়া সংবিধানের চার মূলনীতি মুছে ফেলে, জয়বাংলা বাদ দিয়ে, জাতীয় সঙ্গীত আমার সোনার বাংলা বাদ দিয়ে বিএনপি নামে পার্টি করল। যার অর্থ “বাংলাদেশ নাও পাকিস্তান।” অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ এককালে ছিল, এখন পাকিস্তান। এসব করে পাকিস্তানী প্রভুদের জানিয়ে দিয়েছিল আমি তোমাদের কাজ করছি।
সাবেক এই কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, জিয়ার বাবা- মা’র কবর পাকিস্তানে। কাজেই যাদের পিতৃপুরষ, ভিটে-মাটি সব পাকিস্তানে তারা পরে পাওয়া চোদ্দআনা। তাই দেশটাকে তারা পাকিস্তানের গোলাম বানানোর চেষ্টা করেছিল। এসব সত্য ঘটনা বালিশে মাথা দিয়ে চিন্তা করার জন্য উপস্থিত জনগনের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এদিন মতিয়া চৌধুরী নকলা উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১৬০টি মসজিদে ১০ হাজার করে টাকা, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মাধ্যমিক ও দাখিলের ‘টপটেন’ ৪৭৬জন শিক্ষার্থীকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দুধ খাওয়ার জন্য ৫শ করে টাকা, প্রাথমিক ও এবতেদায়ীর ‘টপটেন’ শিক্ষার্থী এবং হতদরিদ্রদের মধ্যে নিজস্ব তহবিলের ৩ হাজার কম্বল বিতরণ করেন।
এসময় তার সাথে স্থানীয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।