টিকা আসার আগে অনেক সমালোচনা, অনেক ব্যঙ্গ হয়েছে। এসবের উত্তর টিকা আসার পর টিকা নিজেই দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আরেকটু নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এ ছাড়া টিকা নেওয়ার পরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনা ও একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি। ১২ কার্যদিবসের এই অধিবেশন আজ শেষ হয়েছে। শেষ দিনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বিএনপি নেতারা যত কথাই বলুক, তাদের নেতৃত্বের অভাব রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের ওপর থেকে মানুষের আস্থা সরে গেছে। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে মানুষ সেবা পেয়েছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, মানুষের আস্থা–বিশ্বাস অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। তার প্রতিফলন দেখা গেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয়।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যাদের গায়ে দুর্নীতির ছাপ, যারা দুর্নীতিতে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, দুর্নীতি, গ্রেনেড হামলা মামলায় যাদের সাজা হয়, তারা কোনো দলের নেতৃত্বে থাকলে জনগণের জন্য কাজ করবে কীভাবে? যাদের গায়ে হাজার কালির ছিটা, তারা আবার এত বড় কথা বলে কোন মুখে?’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘সামরিক আমলে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার ছিল না। যেটা মিলিটারি শাসকেরা ঠিক করে দিত, সেটাই হতো। রেজাল্টও পরিবর্তন করা হতো।’
এই সংসদ নেতা বলেন, ‘নিজস্ব অর্থায়নে সরকার পদ্মা সেতু করেছে, প্রশংসা তো করলই না, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ‘‘জোড়াতালির পদ্মা সেতুতে কেউ উঠবেন না।’’
বিভিন্ন খাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘১২ বছর সরকার একটানা ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নকাজ দৃশ্যমান হয়েছে। এক সময় ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বাংলাদেশ চলত। একেকটা দলের একেকটা নীতি আছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তার সরকার দেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে চেয়েছে। সেটা পেরেছে। জনগণ ভোট দিয়েছে, তাদের মর্যাদা রক্ষা করা, সেবা করা সরকারের দায়িত্ব। শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববাসী বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। শুধু দেশের ভেতরে প্রশংসা নেই।’