দেশের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই প্রাণঘাতি রোগ এইডস সর্ম্পকে জানেন না। বাকি ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নারীরা এটিকে রোগ সর্ম্পকে মনে করেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। যেখানে বলা হচ্ছে, হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট প্রাণঘাতী রোগ এইডস। বাংলাদেশে এইডস সংক্রমিত হয়েছেন এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার জন। জনসংখ্যার বিবেচনায় এ হার কম হলেও ঝুঁকি বেশি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এইডসের বাহক সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতার হার এখন পর্যন্ত ৭ শতাংশ। যদিও ৮-১০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সরকারের।
এদিকে ওই প্রতিবেদনে আরো বলা হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস/এসটিডি কন্ট্রোল (এনএএসসি) প্রোগ্রাম অনুযায়ী, ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে ১২ লাখ ৯১ হাজার ৬৯ জনের এইডস শনাক্তকরণ পরীক্ষা হয়েছে। আগের বছর এ সংখ্যা ছিল প্রায় ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৫৮৯।
দেশে গত বছর নতুনভাবে এইচআইভি সংক্রমিত ৭২৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৪২০ জন, নারী ২১০ ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ জন। গত এক বছরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণ জনগোষ্ঠীর ১৮৬ জন, রোহিঙ্গা ১৮৮ জন , বিদেশফেরত প্রবাসী ও তাদের পরিবারের সদস্য ১৪৪ জন ২০%, ইনজেকশনের মাধ্যমে শিরায় মাদক গ্রহণকারী ৬১ জন , নারী যৌনকর্মী ১৭ জন , সমকামী ৬৭ জন , পুরুষ যৌনকর্মী ৫৩ জন ও ট্রান্সজেন্ডার ১৩ জন রয়েছেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এসডিজি ফোকাল পয়েন্ট আলমগীর হোসেন একাত্তরকে জানান, ‘এইডসের সংক্রমণ আমাদের দেশে প্রকট না হলেও সাবধানতা জরুরি। এ প্রেক্ষিতে স্পটভিত্তিক ট্রান্সমিশন বন্ধ করতে হবে। বাসা বাড়ি পর্যায়ে এটি সংক্রশের উৎস না হলেও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ছড়ায়। এইচআইভি বিষয়ে আরও নতুন তথ্য আনতে হবে। মানুষ কতটুকু সচেতন আছে সেই তথ্য দিতে হবে। পরিসংখ্যান ব্যুরো যৌথ মিশ্র জরিপের আওতায় এইচআইভির বিষয়ে আরও বেশি বেশি তথ্য সংগ্রহ করবে শিগগিরি। আর এর আওতায় সচেতনতার বিষয়টি উঠে আসবে।’