লাশ হয়ে এলো শেরপুরের শ্রীবরদীর ঝলমলী রানী (৩২)। শনিবার দুপুরে তার লাশ উপজেলার কেকেরচর ইউনিয়নের বীরবান্দা গ্রামের পারিবারিক শ্বশ্বানে দাহ করা হয়। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানার পুলিশ নিহতের ভগ্নিপতি রঞ্জিত বর্মনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানান, তার ভাই মৃত নরেন্দ্র চন্দ্র বর্মনের মেয়ে ঝলমলী রানী। প্রায় ২০ বছর আগে তার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী উপজেলা নালিতাবাড়ীর সন্যাসী ভিটা গ্রামের অমূল্য চন্দ্র বর্মনের ছেলে প্রান কৃষন্ম বর্মনের (৪৫) সাথে। দাম্পত্যে দু’কন্যা পিপাসা রানী (১৩) ও পাপিয়া রানীর (৮) মা হয় ঝলমলী। একই এলাকার রনজিত বর্মনের সাথে বিয়ে হয় তার ছোট বোন স্বপ্না রানীর। দু’পরিবারই থাকতো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপুর বাজারের গৌর মার্কেটের রাম প্রসাদের বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। তারা নাসির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে চাকরি করতো। নিহত ঝলমলির বড় মেয়ে পিপাসা রানী জানায়, তার বাবা মাঝে মধ্যেই তার মাকে মারধর করতো। ঘটনার দিন তার দু ’ বোন ঘুমে ছিল। ঝলমলির ছোট বোন স্বপ্ন রানী জানান, তার স্বামী আবার বিয়ে করতে চায়। এতে বাঁধা দেওয়ায় তাকে প্রায়ই মারপীট করতো। এতে বাঁধা দিতে এলে তার দুলাভাই প্রাণ কৃষন্ম বর্মন তার বোনের ওপর অত্যাচার করতো। এ আক্রোশে প্রাণ কৃষন্ম বর্মন ও রনজিত বর্মন গত ৫ জুলাই রাতে বসত ঘরের বিছানায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঝলমলিকে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঝলমলির মৃত দেহ উদ্ধার করে। এ সময় একটি দা সহ রনজিত বর্মনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা হয়েছে বলে মুঠোফোনে জানান থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শ্যামল কুমার দত্ত। পরে ঝলমলির মৃত দেহ বাড়িতে এনে দাহ করেন তার আত্মীয় স্বজনরা।
নিহত ঝলমলির বড় ভাই দেবেন্দ্র কুমার বর্মন জানান, দীর্ঘদিন যাবত তারা দু’জনই তার দুই বোনকে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার কয়েকদিন আগেও বেধম মারপীট করেছিল। এত গুরুতর আহত হয় জলমলি। এ ঘটনার সুষ্ঠ্য তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি তুলেছেন নিহত ঝলমলির চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা নিরোধ চন্দ্র রায়, স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য জাবের হোসেনসহ নিহতের পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা।