বৈশ্বিক মহামারী করোনা প্রতিরোধে ইতোমধ্যে শেরপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শেরপুরকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শেরপুরে ৯ জন করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৫ এপ্রিল রাত থেকে শেরপুর জেলা লকডাউন ঘোষণা করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনার কলি মাহবুব। সেইসাথে করোনার সংক্রমণ রোধে জামালপুর জেলা ও ময়মনসিংহ জেলার সাথে আন্তঃজেলা সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে প্রশাসন।
এবার করোনা প্রতিরোধে লকডাউন আরো কার্যকর করতে জেলা শহরে ইজিবাইক, থ্রি হুইলার, ব্যাটারি চালিত রিক্সা, সিএনজি ও ভটভটিসহ সকল যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে এম্বুলেন্স, জরুরী খাদ্য ও কাঁচামাল সরবরাহকারী যানবাহন, চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহকারী যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব এসব তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, “করোনা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা জরুরী। আমরা আমাদের চালক ভাইদের অনুরোধ করবো, আপনারা অনেক ধৈর্য করে আমাদের সাহায্য করেছেন; নিজের, পরিবারের তথা দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে আপনারা আর কয়েকটাদিন ঘরে থাকুন।” চালকদের খাবারের প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে ফোন করতে অনুরোধ করেন তিনি। এসময় জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব বলেন, “আপনাদের প্রয়োজনে আপনারা ফোন করলেই প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য উপহার আপনার ঘরে পৌঁছে দেবো, তবুও দয়া করে ঘরে থাকুন।”
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, “অনেকেই সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা বা চালুর চেষ্টা করছেন। আমাদের ম্যাজিষ্ট্রেটরা নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে। তাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য হলেও দোকান বন্ধ রাখুন।”