শেরপুরে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের দুটি পৃথক মামলায় দুইজন স্বামীর বিরুদ্ধে দুই বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শ্রীবরদী উপজেলার তিনআনী ভেলুয়া গ্রামের মো. আক্তার হোসেনের ছেলে মো. মুরসালিন মিয়া (২৪) ও শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার গ্রামের মাঙ্গারু রবিদাসের ছেলে হিরন রবিদাস (২৫)। শেরপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ দন্ড প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ মে মুরসালিন মিয়ার সঙ্গে শিমুলচূড়া গ্রামের রূপালী বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রূপালীর বাবা ব্যবসা করার জন্য মুরসালিনকে নগদ ১ লাখ টাকা ও ১০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেন। কিন্তু মুরসালিন মাদক সেবন করে ও অবৈধভাবে এসব টাকা খরচ করে ফেলেন। এরপর তিনি স্ত্রী রূপালীর নিকট আরো ১ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি মুরসালিন স্ত্রী রূপালীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় রূপালী বেগম বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ৯ মার্চ শ্রীবরদী আমলি আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় স্বামী মুরসালিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ২০১৪ সালের মার্চ মাসে শেরপুর সদর উপজেলার গাজীরখামার গ্রামের হিরন রবিদাসের সঙ্গে ঝিনাইগাতী উপজেলার চেঙ্গুরিয়া গ্রামের মৃত চান রবিদাসের মেয়ে লাখী রাণীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় হিরনকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার প্রদান করা হয়। কিন্তু এক বছর পর হিরন যৌতুক বাবদ আরো ১ লাখ টাকা দাবি করেন। কিন্তু লাখীর পরিবার ওই টাকা দিতে অস্বীকার করায় ২০১৫ সালের ৫ এপ্রিল হিরন তাঁর স্ত্রী লাখীকে মারপিট করে বাবার বাড়িতে রেখে আসেন। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর লাখী বাদী হয়ে ঝিনাইগাতীর আমলি আদালতে স্বামী হিরনের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ বিশ্লেষন শেষে আদালত মুরসালিন ও হিরনকে দোষী সাব্যস্ত করে বুধবার বিচারক উপরোক্ত দন্ড প্রদান করেন।
শেরপুর টাইমস/ বা.স