আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,
وَ شَاوِرۡهُمۡ فِی الۡاَمۡرِ ۚ فَاِذَا عَزَمۡتَ فَتَوَکَّلۡ عَلَی اللّٰهِ ؕ اِنَّ اللّٰهَ یُحِبُّ الۡمُتَوَکِّلِیۡنَ
আর আপনি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। যখন ফায়সালা হয়ে যাবে তখন আল্লাহ তাআলার উপর ভরসা করুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা ভরসাকারীদের ভালোবাসেন।—সূরা আলে ইমরান ১৫৯
وَ الَّذِیْنَ اسْتَجَابُوْا لِرَبِّهِمْ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ ۪ وَ اَمْرُهُمْ شُوْرٰی بَیْنَهُمْ ۪ وَ مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ یُنْفِقُوْنَ
আর যারা তাদের রবের নির্দেশ পালন করে, নামায কায়েম করে, পরস্পর পরামর্শের ভিত্তিতে কাজ করে এবং আমি তাদের যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে।—সূরা শূরা, ৪২ : ৩৮
রাসুল (সাঃ) নিজেও যেকোনও কাজে পরামর্শ করতেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) থেকে সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে বেশি পরামর্শকারী অন্য কাউকে দেখিনি। -(সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৪৮৭২)
পরামর্শ করার আগে যার সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলতে চাইছেন তিনি বিশ্বস্ত, আমানতদার, নেককার ও দ্বীনদার ব্যক্তি কিনা তা যাচাই করে নেওয়া জরুরি। কারণ, যে কারও কাছে পরামর্শ চাইলে হিতে-বিপরীত হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন,‘যার কাছে পরামর্শ চাওয়া হয়, সে আমানতদার।’ (ইবন মাজাহ ৩৭৪৫) অর্থাৎ সে আমানতের সাথে পরামর্শ দিবে, ভুল পথে চালাবে না এবং আমানত হিসেবেই সেটা তার কাছে রাখবে।
পরস্পর পরামর্শ করে কোন কাজ করলে সে কাজে ভুল হওয়া সম্ভাবনা কম হওয়ার পাশাপাশি সবার মতামত প্রকাশে স্বাধীন তৈরি হয়।
আল্লাহ তাআ’লা সব বিষয়ে জানা সত্ত্বেও পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টি করে পাঠানর আগে ফেরেশতাদের সাথে পরামর্শ করেন এবং নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাসুল(সাঃ)কে সাহাবিদের সাথে পরামর্শ করার নির্দেশ দেন।
তাই আমাদের কোন কাজ পরামর্শ করে করা উচিত।
লেখক:শিক্ষার্থী ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।