স্ত্রীর শখ ছিল ঘরে থাকবে টিভি-এসিসহ অন্যান্য গৃহস্থালী পণ্য। কিন্তু স্ত্রীর সাধের সঙ্গে সাধ্যের সমন্বয় ঘটানো সম্ভব হচ্ছিল না মোহাম্মদ জাকিরের। এদিকে ঘরে থাকা ফ্রিজটাও নষ্ট হয়ে যায়। এ অবস্থায় নতুন আরেকটি ফ্রিজ না হলে চলছিল না। অনেক বিবেচনা করে মার্সেলের ফ্রিজ কিনলেন তিনি। আর তাতেই খুলে গেল স্ত্রীর শখ পূরণের পথ। এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়ে টিভি-এসিসহ অনেক পণ্যে এখন ঘর ভরে গেছে মোহাম্মদ জাকিরের।
মোহাম্মদ জাকিরের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ের চানখালি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মা, স্ত্রী এবং এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে ছোট্ট সংসার তার।
গত সোমবার আশুলিয়ার চৌধুরী ইলেকট্রনিক্স থেকে ২৪ হাজার টাকা দিয়ে একটি মার্সেল ফ্রিজ কেনেন মোহাম্মদ জাকির। সেই ফ্রিজ কিনেই পেয়ে যান লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।
মার্সেলের ফ্রিজ কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, ঘরে বিদেশি ব্র্যান্ডের একটি ফ্রিজ ছিল। ব্যবহৃত ফ্রিজটি আরেকজনের কাছ থেকে কেনা হয়েছিল। কিন্তু সেটি নষ্ট হয়ে যায়। ফলে নতুন একটি ফ্রিজ কেনার কথা ভাবি। এবার আর বিদেশি নয়, দেশীয় কোম্পানির ফ্রিজ কিনব বলে ঠিক করি। আমার এক আত্মীয় মার্সেলে কাজ করে। সে আমাকে মার্সেল ফ্রিজ কেনার পরামর্শ দেয়। তাছাড়া আরো কয়েকজনের কাছে শুনতে পাই, এই কোম্পানির ফ্রিজ নাকি ভালো। সে কারণেই ফ্রিজ কিনতে মার্সেল শোরুমে যাই।
মোহাম্মদ জাকির জানান, মার্সেলের এই অফারের বিষয়ে আগে থেকে কিছু জানা ছিল না তার। ফ্রিজ কেনার পর বিক্রয়কর্মীরাই বিষয়টি জানান। তারাই ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে দেন। ফ্রিজ কিনে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পর সন্ধ্যার দিকে ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারের মেসেজ আসে তার মোবাইলে।
লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়ে কেমন লেগেছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুবই খুশি হয়েছি। এর আগে কখনো কোনো পুরস্কার পাইনি। ঘরে তেমন কোনো ইলেকট্রনিক্স পণ্যও ছিল না। এখন মার্সেলের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচারে ঘরভর্তি পণ্য পেলাম। বিশেষ করে, আমার স্ত্রী দারুণ খুশি। সে তার পছন্দের এসি-এলইডি টিভিসহ ঘরের অনেক জিনিস পেয়েছে।
মোহাম্মদ জাকির জানান, মার্সেলের লাখ টাকার এই ক্যাশ ভাউচার দিয়ে তিনি আরেকটি ফ্রিজ, এসি, ৩২ ইঞ্চির এলইডি টিভি, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার ইত্যাদি পণ্য কিনেছেন। পণ্যগুলো তার পরিবার ব্যবহার করবে।
চৌধুরী ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী ইমরুল হাসান চৌধুরী জানান, মোহাম্মদ জাকিরের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ায় এলাকায় ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বুধবার সকালে উৎসবমূখর পরিবেশে তার হাতে ক্যাশ ভাউচার ও সেই টাকায় কেনা পণ্য তুলে দেওয়া হয়। এরপর সৌভাগ্যবান ক্রেতাকে নিয়ে ক্যাশ ভাউচারের টাকায় কেনা পণ্যসহ ব্যান্ড পার্টি সহযোগে পিকআপে করে আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকা ঘোরা হয়।
উল্লেখ্য, অনলাইনে ক্রেতাদের দোরগোড়ায় দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা পৌঁছে দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করতে ভাউচার দেওয়া হচ্ছে। ১০ হাজার টাকা বা তার অধিক মূল্যের পণ্য কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই মিলছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার।
মার্সেল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবার প্রোডাক্ট রেজিস্ট্রেশন করে ৩০০ থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন গ্রাহক। ৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অফার থাকছে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।