কথা বলতে পারেন না, এমনকি চোখও নড়াতে পারেন না। তাদের মনের কথা জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীরা এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন যার মাধ্যমে মানুষের ভেতরের খবর তার জানতে পারছেন।
ফাংশনাল নিয়ার ইনফ্রারেড স্পেক্ট্রোস্কপি নামের এই যন্ত্র দিয়ে উজ্জ্বল দীর্ঘ তরঙ্গ মস্তিষ্কের ভেতরে পাঠানো হয়। এই তরঙ্গ মস্তিষ্কে কতটা শোষণ হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে তথ্য বের করা হয়। একই সময় ইলেক্ট্রোএনসেফ্যালোগ্রাম নামের একটি যন্ত্র দিয়ে মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক তরঙ্গের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে। বিজ্ঞানীরা বলেন মস্তিষ্ক যখন হ্যাঁ বা না বলে তখন তার কার্যক্রমে একটা পরিবর্তন আসে। এই পরিবর্তন অনুবাদ করে কম্পিউটার।
এই প্রথম লকড-ইন রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা যোগযোগ করতে পেরেছেন। মস্তিষ্কের স্নায়ুর একটি রোগ হচ্ছে লকড-ইন রোগ। এ রোগের রোগীরা হাত-পা নড়াচড়া করতে পারেন না। এমনকি চোখও নড়াতে পারেন না। লকড-ইন রোগীদের চিকিৎসার জন্য এ যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা অনেক আশাবাদী। লকড-ইন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত যে চার রোগীর ওপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে তারা বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরে অনেক আনন্দিত।
জেনেভার উইস সেন্টার ফর বায়ো ও নিউরো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক নিলস বিরবমার বলেন, আমরা খুবই অবাক এর ইতিবাচক ফল নিয়ে। আমরা এই চার রোগীর জীবনের মান নিয়ে প্রশ্ন করেছি এবং তার উত্তরও পেয়েছি। আমরা যদি এই কৌশলকে প্রতিটি হাসপাতালে সহজলভ্য করতে পারি তবে লকড-ইন সিন্ডোমের রোগীদের জন্য তা উপকার হবে।
একই সংস্থার পরিচালক অধ্যাপক জন ডনৌ বলেন, এই কৌশল ব্যবহার করে আমরা মস্তিষ্কের স্নায়ুর সমস্যার রোগীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে পারবো এবং তাদের উন্নত চিকিৎসার উপায় খুঁজে বের করতে পারবো।