শেরপুর প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী নূরে আলম চঞ্চলের শারিরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাই তাকে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসী যুবরাজগংদের গ্রেফতারের দাবী করেছেন বিভিন্ন সংগঠন। আর নূরে আলমের খোঁজ খবর নিতে সদর থানার ওসি এমদাদুল হক হাসপাতালে যান। এবং দ্রুত অপরাধীদেরে আইনের আওতায় আনার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।
জানাযায়, ৭ জানুয়ারী শেরপুর-১ সদর আসনের কামারিয়া ইউনিয়নের সূর্যদী উচ্চ বিদ্যালয়ে দেখে দেখে ভোট নেয়া ও সীলমারার খবর পেয়ে, সাংবাদিক নূরে আলম চঞ্চল দুই সহকর্মীকে নিয়ে ওই কেন্দ্রে যায়। গিয়ে সে নিয়ম মোতাবেক ভোট কেন্দ্রর ছবি ভিডিও চিত্র ধারন করে। এতে ওই কেন্দ্রের নৌকার এজেন্ট কথিত সন্ত্রাসী যুবরাজসহ অন্যরা তার ওপর চড়াও হয় এবং আক্রমন চালায়। কিলঘুষি দিয়ে তার হাতে থাকা ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলে এবং নিয়ে যায়। এবং ক্যামেরার ট্রাইপড ও মাইক্রোফোন (বুম) ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বিষয়টি দেখেও না দেখার কৌশল গ্রহণ করে। এরপর অন্যান্যসহকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এই ঘটনার পর পরই সাংবাদিকরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানান। তারা এই বিষয়ে দ্রত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান।
তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। কিন্ত রাতেই তার শরীরের অবস্থার অবনতি হলে আজ ৮জানুয়ারী সকালে শেরপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের আরএমও ডা: খায়রুল কবীর সুমন বলেন, তার বমি হয়েছে এবং বুকে চাপ আছে। তাকে সিটি স্কেনসহ বেশ কিছু পরীক্ষা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর বলা যাবে তার শারিরিক কন্ডিশন কি। আমরা তাকে আপাতত চিকিৎসা দিয়ে অবজারবেশনে রেখেছি।
এ ব্যাপারে নূরে আলম চঞ্চলের ভাই সাংবাদিক ইউসুফ আলী রবীন বলেন, আমরা এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করি সন্ত্রাসী যুবরাজসহ অন্যদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে এ ঘটনায় ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মেরাজ উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, শেরপুর জেলা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক ফারহানা পারভীন মূন্নী, শেরপুর জেলা ফটোজার্নলিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুগনিউর রহমান মনি, শেরপুর জেলা ফটোজার্নলিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ, অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল খান সৌরভ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, মানবাধিকার সংগঠন সৃষ্টি হিউম্যান রাইটসের সহকারী পরিচালক সাংবাদিক নাঈম ইসলাম, শেরপুর জেলা সভাপতি হারুন অর রশীদ, মানবাধিকার সংগঠন আমাদের আইনের শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মানব সমাজ উন্নয়ন পরিকল্পনার ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট মেহেদী হাসান পাপুল, আজকের তারুন্যের সভাপতি রবিউল ইসলাম রতন, সবুজ আন্দোলন ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি শাহরিয়ার শাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল আওয়াল পাপুলসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের অবিলম্ভে গ্রেফতারের দাবী করেছেন।
মানবাধিকার সংগঠন আমাদের আইনের শেরপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসাইন বলেন, আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে আন্দোলনে যাওয়ার কথা ভাবছি। অপরদিকে জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
ওসি মো. এমদাদুল হক জানায়, মারধরের সংবাদ পেয়েই আমি ঘটনাস্থলে যাইা। অপরাধী যেই হউক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।