
চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ৩০জন বেকার যুবকের কাছ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন কালিয়ার রমজান শিকদার নামে এক প্রতারক। তিনি উপজেলার ৪নং মাওলি ইউপির কাঠাদুরা গ্রামের মৃত ছবর শিকদারের ছেলে।
জানা যায়, উপজেলার শুক্তগ্রামের জুলু মোড়ল পেশায় একজন মাছ বিক্রেতা। তার অভিযোগ, রমজানের সঙ্গে তার দীর্ঘ দিনের পরিচয়। সেই সুবাদে তার ছেলেকে সেনাবাহিনীর চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রমজান। এছাড়াও মাউলি গ্রামের বাপ্পারাজ শেখ, সাদিয়ার মুসল্লি, রিপন অধিকারী, অনুপ সরকার, দেবাশীষ পাল, অজয় বিশ্বাস অভিযোগ করেন, মালি ও অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেয়ার জন্য তাদেরসহ অন্তত ৩০জনকে ঢাকার মিরপুর নিয়ে সেনানিবাসের পাশের একটি হোটেলে বসে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রত্যেকের কাছ থেকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন রমজান। ওইসব নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরিতে যোগদান করতে গেলে তারা বুঝতে পারেন ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে।

কলাগাছি গ্রামের এরশাদ শেখের অভিযোগ, তিনি ও তার ভাগ্নে খুলনার দাকোপ উপজেলার আবু তাহের গাজী এবং শ্যালক গোপলগঞ্জের হিরাঙ্গির গাজীকে সেনাবাহিনীর মালি পদের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারক রমজান। আর ওই নিয়োগপত্রের ঠিকানা অনুযায়ী ঢাকার মিরপুর সেনানিবাসে যোগদান করতে গেলে জানা যায় তাদের কাগজপত্র ভুয়া।
এলাকাবাসী জানান, রমজান কালিয়া ও লোহাগড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ৩০জন যুবকের কাছ থেকে জনপ্রতি পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা (প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ) নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

রমজান শিকদারের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী আসমা বেগম তার স্বামীর বিরুদ্ধের সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার স্বামী গা ঢাকা দেন নি। তিনি ঢাকায় বেড়াতে গেছেন।
৪নং মাওলি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন, রমজানের বিষয়ে আশপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ তার কাছে অভিযোগ করেছে। তবে রমজান এলাকায় না থাকায় তিনি কোন সুরাহার চেষ্টা করতে পারেন নি। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
কালিয়া থানার ওসি শেখ শমসের আলী ও নড়াগাতি থানার ওসি আলমগীর কবির বলেন, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। তবে থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেন নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সূত্র: ইত্তেফাক
(শে/টা/বা/জু)