ঝিনাইগাতী প্রতিবেদক : ভাল নেই গোমড়া গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা। শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ী জনপদে অবস্থিত গোমড়া গুচ্ছগ্রাম । ২০১২-১৩ অর্থ বছরে ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবার পুন:বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের অধিনে নির্মিত হয় ওই গুচ্ছ গ্রামটি। এখানে পুন:বাসিত করা হয় ভূমিহীন ৩০টি পরিবারকে। এ ৩০ পরিবারের লোক সংখ্যা প্রায় শতাধিক। খাদ্য বস্ত্র ও পানি সংকট সহ নানা সমস্যায় ভোগছে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা ।
গ্রামটিতে পানির উৎসের জন্য ২ টি রিংওয়েল ও একটি পুকুর খনন করা হয়েছে । রিংওয়েল ও পুকুরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তীব্র পানি সংকটে ভোগছে বসিন্দারা । বছরের ৬ মাসই তারা পানি সংকটে ভুগছে বলে জানায় বাসিন্দারা ।
গুচ্ছ গ্রামের আশপাশের বাড়ী গুলো থেকে তারা পানি সংগ্রহ করতে গেলে তাদের বাঁকা চোখে দেখে এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয় বলে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা উসমান আলী জানায়।
এর কারন হিসেবে জানাগেছে, গুচ্ছ গ্রাম নির্মানের আগে ওই খাস জমি তাদের দখলে ছিল। গুচ্ছ গ্রাম নির্মানের জন্য তাদের ওই সব খাস জমি ছেড়ে দিতে হয়েছে।
অপর দিকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি গুচ্ছ গ্রামের ভিতরের জমি জবর দখল করে চাষাবাদ করে নিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবাদ করলে তাদের খুন জখম ও প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে গুচ্ছ গ্রামের সহ সভাপতি আবুল হোসেন জানায়। তিনি আরো জানায়, তার মুদি দোকান ঘরের সামনে একটি চায়ের চূলা বসালে গুচ্ছ গ্রামের বাইরের প্রভাব শালী ফজল মিয়া গংরা তা গুড়িয়ে দিয়েছে।
এনিয়ে আবুল হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ প্রদান করেছেন। তারা আরো জানান, এ বছর তারা শীতের কম্বল পায়নি এমনকি গুচ্ছ গ্রামের কেউ ভিজিডি কার্ডও পায়নি ।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, এবার শীত মৌসুমে উপজেলায় তিন সহ¯্রাধিক কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তবে বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান দেখবেন ।
এব্যাপারে নলকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান অয়ুব আলী ফর্সা জানান, গুচ্ছ গ্রামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের মধ্যে অন্ত:দ্বন্দ্বে তা বিতরন করা হয়নি।