মারাকানা স্টেডিয়াম মানেই লিওনেল মেসির জন্য ‘অম্লমধুর’ এক স্মৃতি। ২০১৪-তে হাতছোঁয়া দূরত্বে থেকে বিশ্বকাপ ফসকে যায় মেসির। এরপর ২০২১ কোপা আমেরিকায় একই মাঠে তাঁর নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ২৮ বছরের শিরোপা-খরা ঘুচিয়েছিল ব্রাজিলকে হারিয়ে। আড়াই বছর পর এই মারাকানাতেই মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। এবার যেন ২০২১ কোপা আমেরিকার স্মৃতি ফিরিয়ে আনার কথাই বলেছেন মেসি।
সৌদি আরবের বিপক্ষে হেরে কাতার বিশ্বকাপে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। এর পর থেকে টানা ১৪ ম্যাচ অপরাজিত ছিল আকাশি-নীলরা। যার মধ্যে ছিল ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ জয়। যে শিরোপা জিততে আর্জেন্টিনাকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল ৩৬ বছর। সেই অপরাজেয় যাত্রা আজ থামিয়েছে উরুগুয়ে। বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে লা বোম্বোনেরায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে উরুগুয়ে। যেখানে আর্জেন্টিনা ৬৪ শতাংশ বল দখলে রেখে দাপট দেখিয়ে খেলেছিল। একই দিনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আরেক ম্যাচে ব্রাজিলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়া। অন্যদিকে কাতার বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে বাদ পড়ার পর এ বছর ব্রাজিলের পারফরম্যান্স আশানুরূপ হচ্ছে না। ৮ ম্যাচের মধ্যে সেলেসাওরা জিতেছে ৩ ম্যাচ, হেরেছে ৪ ম্যাচ ও ১ ম্যাচ ড্র করেছে।
ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা—এই দুটো দলই একে অপরের বিরুদ্ধে খেলবে পরের ম্যাচ। ২২ নভেম্বর ভোরে মারাকানায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আমেরিকার দুই প্রতিবেশী দল। উরুগুয়ের ম্যাচের হতাশা সেই ম্যাচে আর্জেন্টিনা কাটিয়ে উঠবে বলে আশাবাদী মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার বলেন, ‘আমাদের আজ হারতেই হতো। এটা একটা পরীক্ষা। আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং ব্রাজিলে দারুণ ম্যাচ খেলতে হবে।’
৩৬ শতাংশ বল উরুগুয়ে দখলে রেখেছিল ঠিকই। তবে রক্ষণভাগ ও আক্রমণভাগের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উরুগুয়ে কোনো গোলই করতে দেয়নি আর্জেন্টিনাকে। উরুগুয়ে একটু বেশিই শারীরিক ফুটবল খেলেছিল। এই ম্যাচ ২২ ফাউল করেছে উরুগুয়ে। আর আর্জেন্টিনা করেছে ১১ ফাউল। এই উরুগুয়ে দলের প্রধান কোচ মার্সেলো বিয়েলসা। একসময় বিয়েলসাই আর্জেন্টিনা দলকে কোচিং করিয়েছেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ী ফুটবলার বলেন, ‘আমরা কখনোই স্বস্তিতে ছিলাম না। তারা (উরুগুয়ে) শারীরিক খেলা বেশি খেলে। পাল্টা আক্রমণে তারা বেশ বিপজ্জনক। আর্জেন্টিনাসহ যেকোনো জাতীয় দল বা ক্লাব যা-ই হোক না কেন, তাঁর (মার্সেলো বিয়েলসা) ম্যাচের একটা প্রভাব দেখা যায়।’