ব্যস্ততা বেড়েছে শেরপুরের লেপ-তোশক তৈরির কারিগরদের । কিন্তু এখনো শীতের তীব্রতা না বাড়ায় লেপ বিক্রি কম। তবে ব্যবসায়ীদের আশা পৌষে বাড়বে বেচাবিক্রি।
৪ ডিসেম্বর পৌর শহরে তেরা বাজারে লেপ-তোশক তৈরির দোকানগুলোতে কারিগররা ব্যস্ত সময় করছেন। বেশ কিছুদিন হলো এখানে শহরের অর্ডারকৃত লেপ সেলাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কেউবা তুলা বাছাই করছে, কেউবা সেলাই করছে, আবার কেউবা লেপের ভেতরে তুলা ঢুকাতে ব্যস্ত সময় পার করছে।
গত ১ সপ্তাহ ধরে কাজের চাপ কিছুটা বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা। প্রকারভেদে লেপ সেলাই করতে ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা মজুরি নিয়ে থাকেন তারা।
কারিগরদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বছরের অন্য সময়ের থেকে এই শীত মৌসুমে তাদের কাজ বেশি থাকে। তবে এবার শীতের তীব্রতা কম থাকায় কাজও তেমন বেশি নেই।
আবুল হাশেম নামে এক শ্রমিক বলেন, আমি ১৫ বছর ধরে এই লেপ সেলাই কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এবার তুলা, সুতা আর কাপড়ের দাম বাড়লেও আমাদের মজুরি বাড়েনি।
সদর উপজেলার চরশেরপুরের যোগিনীমুড়া হতে তেরা বাজারে লেপ বানাতে আসা এস এম নূরুল ইসলাম বাবুল শেরপুর টাইমসকে বলেন, বলেন, বর্তমানে লেপ-তোশক বানাতে বেশি টাকা লাগছে। আগে বানাতে এক হাজারের মতো টাকা লাগত যে লেপ, সেটা এখন প্রায় দিগুণ টাকা লাগতেছে। সবকিছুর দাম বাড়ায় তাই একটু দাম বেশি নিচ্ছেন। কি আর করা। সামনে শীত নামবে, লেপ-তোশক বানাতেই হবে।
আখের মামুদ বাজারের মায়ের দোয়া লেপ ঘরের মালিক শাহ জাহান আলী জানান, শীতের কাজ এখন শুরু হয়েছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যে আরও বেশি কাজ হবে। তবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও ক্রেতারা বেশিদাম দিতে চান না আমাদের। তাই লাভ এবার খুব কম।
তিনি আরও জানান, প্রকারভেদে ১ হাজার টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকার মধ্যে লেপ বিক্রি করেন তিনি।
আখের মামুদ বাজারের লেপ তোশক ব্যবসায়ী আকরাম হোসাইন শেরপুর টাইমসকে বলেন, এখন কালার তুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মিশালি ২০, সিম্পল ৬০, শিমুল ৪০০ টাকা ও সাদা তুলা ১শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় লেপ-তোশকের দাম বেড়ে গেছে।