বেসরকারি চ্যানেলগুলো ভারতে অচিরেই যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার কলকাতার নিউটাউনস্থ ‘রবীন্দ্র তীর্থ’ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইন্দো-বাংলা সামিট-২০১৯’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিটিভি ভারতে এসেছে, আশা করি আগামীতে দেশের বেসরকারি চ্যানেলগুলোও আসবে। এ বিষয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে কথা চলছে, অচিরেই বেসরকারি চ্যানেলগুলো আসবে।
ইন্দো-বাংলা কাউন্সিল ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড কালচারাল কোলাবরেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ সময় ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ হাজার বছরের পুরনো উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের এক জাতি, আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি একই। বাংলাভাষা পৃথিবীর অন্যতম মাধুর্যময় ভাষা। সারা বিশ্বে এক সময় এ অবিভক্ত ভারতের যৌথ বাংলাই ছিলো ধনী।
তিনি বলেন, এখন পৃথিবীতে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে। সেই বিপ্লব জোর দিয়েছে ডিজিটাল ইনফরমেশন টেকনোলজির ওপর। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্যোগ নেয়। সেই উদ্যোগ আজকে বাস্তবায়নের দিকে। ভারতে একই রকম উদ্যোগ নিয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, তবে আমি মনে করি নিজেদেরকে উন্নত করতে হলে শিক্ষার প্রয়োজন। আর শিক্ষা কখনোই বেড়াজাল মানে না। বাস্তবে শিক্ষা আদান-প্রদানে দুই দেশ আরো উন্নত হতে পারে। এর সঙ্গে আরো বাড়াতে হবে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান। মনে রাখতে হবে পৃথিবীতে এককভাবে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না। এ অঞ্চল উন্নত হলে বাংলাদেশ-ভারত উন্নত হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বাংলাদেশ উপ দূতাবাসের প্রধান তৌফিক হাসান। এছাড়া বাংলাদেশের লিডিং ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী ও পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের ৬ জেলার শিক্ষা পর্ষদ এবং ইন্দো-বাংলা কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বনমালী ভৌমিক।
তথ্যমন্ত্রী নানা কর্মসূচি নিয়ে কলকাতা সফরে গেছেন। তিনি দুদিন সেখানে অবস্থান করবেন। সন্ধ্যায় কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে।