ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিরল রোগে আক্রান্ত সাড়ে ৭ বছর বয়সী অসহায় সালমান কাতরাচ্ছেন মৃত্যু যন্ত্রনায়।
উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের গন্ডখোলা ফকিরবাড়ী এলাকার সজল মিয়ার ছেলে বিরল রোগে আক্রান্ত সালমান ৬ মাস বয়স থেকে শরীরে ছোপছোপ দাগ দেখা যায়। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়লে এ রোগে আক্রান্ত হয়। এ বিরল রোগে আক্রান্ত সন্তানকে বাচাতে বাবা মা নিজের একমাত্র সহায় সম্বলটুকুও বিক্রি করে দিয়েছেন।
সালমানের চিকিৎসা বাবদ তার পরিবারের ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়। এখন আর তার বাবার কাছে চিকিৎসা করার মত অবশিষ্ট আর টাকা অবশিষ্ট নেই। তার পরিবার টাকার অভাবে এখন আর চিকিৎসা করতে পারছে না। সালমান ব্যথার যন্ত্রনায় সারারাত কান্নাকাটি করে, কাউকে ঘুমাতে দেয়না।
সালমান বিরল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা বারডেম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।
১০ মাস আগে সালমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৭টি অপারেশন করা হয়।
সে অপারেশন বাবদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন সালমানকে ভালো চিকিৎসা করালে সে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে।
সালমানের বাবা সজল মিয়া জানান, ছেলের ৬ মাস বয়স থেকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করে এখন আমি নিঃস্ব। আমার স্ত্রী ও আমি গার্মেন্টস এ চাকুরী করতাম। যা টাকা জমিয়ে ছিলাম তা চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়ে গেল। আমার ছেলে সারারাত আমার পা ধরে কান্নাকাটি করে বাবা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাও। তার দেখাশোনা করার জন্য কাজ কর্মও করতে পারিনা। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছিনা।
স্থানীয় বাসিন্দা এস এম মাসুদ রানা জানান, বিরল রোগে আক্রান্ত সালমানকে নিয়ে অনেক কষ্টে আছে তার পরিবার। চিকিৎসা করে তার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। ব্যাথায় কান্নাকাটি করে সালমান। কেউ সহযোগীতা করলে চিকিৎসা করাতে পারে।
বিরল রোগে আক্রান্ত সালমানকে বাচাতে বৃত্তবানদের সহযোগীতা চেয়েছেন তার পরিবার। সবার সহযোগীতায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে এ শিশুটি।
#যুগান্তর