শেরপুর-২ আসনটি নকলা ও নালিতাবাড়ী এই দুটি উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১২ হাজার ৩১০ জন। এখানে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এরা হলেন- আওয়ামী লীগ থেকে মনোনিত বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মনোনিত প্রার্থী লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া ও সতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাইদ আঙ্গুর।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিনক্ষণ যতই ঘনিয়ে আসছে এ আসনে ততই নৌকা মার্কার পাল্লা ভারি হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে নির্বাচন। এতে অনেকটাই বিজয় সুনিশ্চিত হতে চলেছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরীর। তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে উপস্থিত হয়ে পথসভা করে ভোট প্রার্থনা করে চলেছেন। এতে সর্বস্তরের ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। জনসভায় উপস্থিত ভোটাররা দুই হাত তুলে মতিয়া চৌধুরীকে সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ আসনের তিনজন প্রার্থীর মধ্যে বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরী ৬ষ্ঠ বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নৌকা মার্কা নিয়ে অংশ গ্রহন করেছেন। তার প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মনোনিত মশাল মার্কা নিয়ে নবীন প্রার্থী হয়েছেন লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া। যদিও এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে প্রচারনাসহ তার তেমন কোন কার্যক্রম পরিচালিত হতে দেখা যায়নি।
আরেকজন সতন্ত্র নবীন প্রার্থী সৈয়দ সাইদ আঙ্গুর ঈগল মার্কা নির্বাচনী মাঠে থাকলেও তার প্রচারনা চলছে ঢিমেতালে। তার ঈগল মার্কার পথসভায় উল্লেখযোগ্য ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। এছাড়া মতিয়া চৌধুরীর প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহনকারী দুইজন প্রার্থীরই নেই কোন ভোট ব্যাংক বা সংগঠিত কর্মী বাহিনী। যে কারনে তারা মতিয়া চৌধুরীর সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারছেন না।
অপরদিকে, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, বর্তমান সরকারের সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এ আসনে বিগত ১৯৯১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় স্কুল কলেজ ও রাস্তাঘাট বিদ্যুতসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। পাশাপাশি নকলা উপজেলাতেও রয়েছে নানা রকম উন্নয়নের চিত্র। এসব উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের মধ্যে নাকুগাঁও স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠা করায় সেখানে হাজারো শ্রমিকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলার ভোগাই নদীর জামিরাকান্দা এলাকায় রাবারড্যাম স্থাপনের ফলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নে নির্মাণ করা হয়েছে মধুটিলা ইকোপার্ক। সেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে দেশি বিদেশি পর্যটক ও ভ্রমন পিয়াসীরা আসছেন। এতে সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান। উপজেলার পৌরসভাসহ ১২টি ইউনিয়নে ইউনিয়নভিত্তিক প্রয়োজন অনুসারে নানা ধরনের উন্নয়ন করেছেন তিনি। এসব উন্নয়নে নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা তার উপর সন্তুষ্ট রয়েছেন। সততা ও কর্মদক্ষতার কারনে তার ব্যাপক সুনামও রয়েছে।
তাই এলাকার ভোটাররা এসব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ৬ষ্ঠ বারের মতো নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মতিয়া চৌধুরীকে বিজয়ী করবেন বলে ভোটাররা জানান। সব মিলিয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহনের দিনটি যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বেগম মতিয়া চৌধুরীর বিজয় সুস্পষ্ট হচ্ছে।