তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি বারংবার বলে আসছে বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বলেছিল। আবার নির্বাচনে অংশগ্রহণও করেছিল। আমি আশা করব এবারো তারা নির্বাচনে অংশ নেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক টিমের সঙ্গে এক বৈঠকে বিএনপি বলেছে, বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করল কী করল না, তার চেয়েও বড় বিষয় হচ্ছে জনগণ অংশগ্রহণ করলে কিনা। জনগণের অংশগ্রহণে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল যদি, অর্থাৎ বিএনপিসহ তাদের মিত্ররা যদি নির্বাচন বর্জনও করে, সঠিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জনগণের অংশগ্রহণে একটি আন্তর্জাতিকমানের নির্বাচন বাংলাদেশে যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধু বায়োপিকের নির্মাণ সমাপ্তি ও দেশব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য সিনেমা হল মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আসলে বিএনপি চায় নির্বাচনে জেতার নিশ্চয়তা। তাদের বক্তব্যটা এ রকম- নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা। তারা যদি এত জনপ্রিয় হয় তাহলে নির্বাচনে আসুক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনের সময় কার্যত সরকারের কোনো কার্যক্রম থাকে না। কাউকে বদলির ক্ষমতাও থাকে না। সরকার রুটিন কাজ ছাড়া কিছুই করতে পারে না। ক্ষমতা মূলত নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত হয় নির্বাচনি আইন অনুযায়ী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, তারা যেহেতু রাজনীতি করছে তারা নির্বাচনে আসুক। আমরা তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন চাই।