শিরোনাম পড়ে কি চমকে উঠছেন! না সত্যি বলছি। নির্ধারিত বাসের ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া যাত্রীদের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন। রবিবার (৯ জুন) রাতে বিভিন্ন বাসের মধ্যে উঠে নিজ হাতে বাড়তি টাকা ফিরিয়ে দেন তিনি।
জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটিয়ে ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরার সময় বিপাকে পড়ছেন শেরপুরের মানুষ। বাসমালিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছে। ফলে অনেকে টাকার জন্য বাড়িতেই ফিরে যাচ্ছে- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে শেরপুরের বিভিন্ন বাস কাউন্টারে অভিযান চালায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন। পরে যাত্রীদের সাথে কথা বলেন তিনি। যাত্রীরা জানান, তাদের কাছ থেকে বাড়তি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা বাড়তি ভাড়া নিয়েছে কাউন্টার থেকে। ইউএনও কাউন্টারের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এবং টিকিট চেক করে বাড়তি ভাড়ার নেওয়ার সত্যতা পায়। পরে কাউন্টারের কর্মকর্তাদের বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলেন। পরে ইউএনও ফিরোজ আল মামুন বাসের মধ্যে উঠে প্রত্যেক যাত্রীদের সাথে কথা বলে ও টিকিট চেক করে বাড়তি টাকা ফিরিয়ে দেন। এতে খুশি হয় যাত্রীরা।
শেরপুর চেম্বার অব কমার্স’র ঢাকাগামী যাত্রী নূর মাহমুদ বলেন, আমার কাছ থেকে ৬শ টাকা ভাড়া নিয়েছে। আমি ৫০টাকা কম দিতে চাইলেও নেয়নি। পরে ইউএনও স্যার এসে আমার ১০০শ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। আমি খুব খুশি উপজেলা প্রশাসন দারুণ একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
পাশেই বসা যাত্রী লাইলা বেগম বলেন, আমার কাছে ৫৫০টাকা নিয়েছে কাউন্টারে। ইউএনও স্যার আমার ৫০টাকা নিজ হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানাই প্রশাসনকে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফিরোজ আল মামুন শেরপুর টাইমসকে বলেন, নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে- এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি বিভিন্ন কাউন্টারে অভিযান চালায় এবং সত্যতা পায়। পরে বাড়তি টাকা আমি যাত্রীদের কাছে ফিরিয়ে দেয়। এ ব্যাপারে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।