এসএসসি ও এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া বাড়তি ফি ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত না দিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছন হাইকোর্ট। আজ বুধবার বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আদেশের পর মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট ২০১৪ সালে এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বাড়তি ফি আদায় নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত একটি রুলসহ আদেশ দিয়েছিল। সম্প্রতি বর্ধিত ফি আদায়ের কিছু অভিযোগ নজরে এলে আদালত শিক্ষা বোর্ডগুলোকে বাড়তি ফি আদায় না করতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলে। তারই ধারাবাহিকতায় মামলাটি আজ বুধবার আদেশের জন্য রাখা ছিল। আদালত আজ বলেছে, নির্ধারিত ফির বাইরে কোনো ধরনের ফি যেন আদায় করতে না পারে এবং না করে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেন কঠোরভাবে সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি মেনে চলে। যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদালতের এই আদেশের ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আদালত আদেশে বলেছে, যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসএসসি, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণে বাড়তি ফি নিয়ে থাকে তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। তা না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি/ম্যানেজিং কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হবে। আর অতিরিক্ত ফির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা থেকে বিরত রাখা যাবে না। মিজানুর রহমান বলেন, কোনো পরিচালনা পর্ষদ স্থগিত হলে সেই কমিটির কেউ পরে তিন বছর আর সদস্য হতে পারবেন না। বিষয়টি আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আবার আদালতে আদেশের জন্য আসবে বলে জানান এই আইনজীবী। ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘আট গুণ বাড়তি ফি আদায়’ শিরোনামের প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বাড়তি ফি আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। ওই আদেশের প্রেক্ষিতে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদায় করা বাড়তি ফি ফেরত দেয়। ফেরত না দেওয়ায় কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে তলবও করেছিল হাই কোর্ট।