
‘বাপুরে, জীবনে বহুতবার ভোট দিছি। এহন আর শইল চলেনা। বাপু, এডায় হয়তো জীবনের শেষ ভোট’- শেরপুর সদরের ৯৩নং খুনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোট দেওয়ার পর এ কথা বলেন শতবর্ষী ভোটার জমতুল্লা উদ্দিন
তিনি খুনুয়া গ্রামের মৃত মনিরুদ্দিনের ছেলে। লাঠিতে ভর করে অন্যের সহায়তা নিয়ে বাড়ির বাইরে বের হতে হয় জমতুল্লার। তাই খুব বেশি একটা বাড়ির বাইরে বের হননা তিনি।
স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার পর তার নাতি ভ্যান আনতে গেছেন। এসময় কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে।
জমতুল্লাহ ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনের গল্প বললেন স্পষ্টভাবে। ১৯৭০ সালের নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনের সাক্ষী তিনি।
এই বয়সে কেন ভোট দিতে এলেন- জানতে চাওয়া হলে শতবর্ষী জমতুল্লাহ বলেন, ‘ভ্যান গাড়িতে বসে এলাম ভোট দিতে। কেন্দ্রে পুলিশ বাপুরা আমারে সহায়তা করেছে। বাপুরে, এডাই হয়তো জীবনের শেষ ভোট।’ এত বয়সেও চশমা ছাড়া ভোট দিতে তার কোনো অসুবিধা হয়নি।
আজ ৩০ নভেম্বর শেরপুর সদর উপজেলার স্থগিত সাত কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল আটটা হতে। চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। খুনুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৬৭০ ভোটার।