প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নেমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে পাত্তাই পায়নি নামিবিয়া। মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয়ে তারা ম্যাচ হেরেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে। সেই পরাজয়কেই যেন ঘুরে দাঁড়ানোর অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছে আফ্রিকান দেশটি।
হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা নামিবিয়াই একের পর এক গড়ছে ইতিহাস। সবশেষ বুধবার রাতে সুপার টুয়েলভের ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। এর আগে প্রথমপর্বে নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভে নাম লেখায় দলটি।
আইসিসির নন টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে সুপার টুয়েলভে খেলতে এসেই জয় পাওয়া প্রথম দলে পরিণত হয়েছে নামিবিয়া। এছাড়া নন টেস্ট প্লেয়িং দেশ হিসেবে টানা তিনটি ম্যাচ জিতেছে তারা। শুধু তাই নয়, এক আসরে জয়ের সংখ্যায় বাংলাদেশকেও ছাড়িয়ে গেছে নামিবিয়া।
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকেই খেলছে বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপে পাওয়া দুই জয়সহ কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ দল জিতেছে মোটে ৭টি ম্যাচ। বিশ্বকাপের কোনো আসরেই দুইয়ের বেশি জয় নেই বাংলাদেশ দলের।
চলতি বিশ্বকাপেও এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে দুইটি জিতেছে বাংলাদেশ। সামনে রয়েছে আরও তিনটি ম্যাচ। সেখানে অন্তত একটি জিতলেও এক আসরে তিন জয় হবে বাংলাদেশের। কিন্তু তাদের আগেই মাত্র চার ম্যাচ খেলে তিনটি ম্যাচ জিতে নিয়েছে নামিবিয়া।
শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের ইতিহাসে কখনও প্রথমপর্বের পর আর জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। চলতি বিশ্বকাপের আগে ২০০৭, ২০১৪ ও ২০১৬ সালের আসরে প্রথমপর্বের বাধা পেরিয়েছে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়পর্বে গিয়ে আর মেলেনি জয়ের দেখা।
বাংলাদেশ দল এখনও অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্বকাপের প্রথমপর্ব বাদে একটি জয়ের। কিন্তু প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে এসেই টানা তিন জয়সহ সুপার টুয়েলভেও নামিবিয়া জিতে নিয়েছে একটি ম্যাচ। বাংলাদেশের অপেক্ষা এবার ফুরোবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে। কিন্তু প্রথম আসরেই চমক দেখাতে ভুল করেনি নামিবিয়া।