বিগত কয়েক যুগের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে সিলেট। পুরো বিভাগের বিভিন্ন জেলাতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থিতি। পানির তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে দেশের উত্তরাঞ্চলেও। আশঙ্কা করা হচ্ছে আগামী কিছুদিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলায়ও বন্যা শুরু হবে।
বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েন বৃদ্ধ ও শিশুরা। কারণ তারা পরের ওপর নির্ভরশীল। তাই, বন্যার তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।
নিরাপদ স্থান: বন্যায় ঘরবন্দি হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের নিরাপদ স্থানে নেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কারণ বন্যার সঙ্গে তরুণরা পেরে উঠলেও তারা নিজেদের সামলাতে পারবেন না।
খাদ্যের যোগান: সম্ভব হলে বন্যা আসার আগেই কিছু খাবার মজুদ করে রাখা ভালো। বিশেষত শিশুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রাখা জরুরি।
বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা: বন্যা কবলিত এলাকায় সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় সুপেয় পানির অভাব। শিশু আর বৃদ্ধদের জন্য যা অতি জরুরি। ফিল্টার কাগজ বা পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেটের সাহায্যে পানি পরিষ্কার করে তাদের পান করতে দিন।
শারীরিক অসুস্থতায় করণীয়: বন্যায় শিশু ও বৃদ্ধদের যেসব শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় তার মধ্যে অন্যতম হলো ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা। এমনটা হলে ঘন ঘন স্যালাইন খেতে দিন। আতপ চাল গুঁড়ো করে তার সঙ্গে লবণ মিশিয়ে জাউ তৈরি করে খাওয়াতে পারেন। এছাড়া লবণ ও চিনি-গুড় দিয়ে স্যালাইন তৈরি করে যায়। শিশুদের যথারীতি মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশু বমি করলে ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৪-৫ মিনিট পর পর স্যালাইন খাওয়াবেন।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ: শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হয়। বন্যার নোংরা পানি, বাজে আবহাওয়ায় তারা দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই জ্বর, সর্দি, ব্যথা, কাশি ইত্যাদি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যার ওষুধগুলো হাতের নাগালে রাখুন।
কেবল শিশু আর বয়স্ক নয়, পরিবারে প্রতিবন্ধী বা গর্ভবতী নারী থাকলে তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো মেনে চলুন।