শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির তান্ডবে উঠতি আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবত একদল বন্যহাতি পাহাড়ি এলাকার কৃষকের আমন ধানক্ষেত খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করে চলেছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতব্যাপী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা, ফেকামারী ও তালতলা এলাকায় ওই তান্ডব চালায়।
ভুক্তভোগী প্রান্তীক কৃষকরা জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকায় প্রায় ৪০/৫০টির একদল বন্যহাতি দিনের বেলায় গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকে আর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই খাবারের সন্ধানে কৃষকের রোপিত আমন ধানক্ষেতে নেমে আসছে। হাতির দলটি ফসলের ক্ষেত খেয়ে ও মাড়িয়ে সাবার করে দিচ্ছে। এতে কৃষকের পড়েছে মাথায় হাত।
ওই এলাকার কৃষাণী বিধবা মুর্শিদা বেগম (৬০) জানান, তার আবাদি ১০ কাঠা জমি হাতিরদল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট করেছে। এখন তিনি কি খেয়ে বাঁচবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন।
একই এলাকার কৃষক আব্বাস আলী জানান, তার নিজেরসহ এলাকার আব্দুল মালেকের ১০ কাঠা, শামিম মিয়ার ১০ কাঠা, দুলাল মিয়ার ১০ কাঠা, সেকান্দার আলীর ৫ কাঠা, হাসেন মিয়ার ৫ কাঠা, হাসেম আলীর ১ একর, ওয়াছের আলীর ৫ কাঠা, সেলিম মিয়ার ৫ কাঠা, আব্দুর সাত্তারের ৫ কাঠা, আব্দুল সোবহানের ১০ কাঠা, নুর মোহাম্মদের ৫ কাঠা, জহুর আলীর ৫ কাঠা, নজরুল ইসলামের ১০ কাঠা, হেলিমের ১ একর ও রজব আলীর ৮ কাঠা জমির আমন ধান হাতিরদল খেয়ে শেষ করে দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা আরো জানান, তাদের আবাদি জমির ধানে এখন থোর এসেছে আর কিছুদিন পড়েই ধান পেকে যেত। এমন সময়ে বন্যহাতি এসে ধান খেয়ে ফেলেছে। তাদের এখন বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল।
উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমন মৌসুমের শেষ দিকে এসে বন্যহাতির দল কৃষকের ফসল খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে বিনষ্ট কারার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমরা উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ ওই সকল কৃষকদের তালিকা প্রনয়ন করে সামনের বোরো আবাদে তাদেরকে সরকারীভাবে প্রনোদনার আওতায় আনা হবে।