জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার নতুন টুপকারচর গ্রামে সুদের টাকা নিয়ে জনসন্মুখে নান্ডা মিয়া নামে এক দিনমজুরকে নগ্ন করার ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে পুলিশ তাদের আটক করে। তবে ঘটনার মূল নায়ক শফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, জেলার বকশীগঞ্জের নতুন টুপকারচর গ্রামের সাধু শেখের ছেলে দাদন ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রতি হাজারে মাসিক ১০০ টাকা সুদে ১০ হাজার টাকা ধার নেন একই গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে নান্ডা শেখ। চার বছরে আসল ৫ হাজার টাকাসহ ৪০ হাজার টাকা সুদ দেন দিনমজুর নান্ডা মিয়া। বাকি ৫ হাজার টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে শফিকুল।
টাকা যোগাড় করতে না পারায় সুদের টাকা পরিশোধ করতে পারেননি নান্ডা মিয়া। কিন্তু নাছুর বান্দা দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল লোকজনসহ নান্ডা মিয়ার বাড়িতে গিয়ে টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।
সময়ের আবেদন করেন নান্ডা মিয়া। কিন্তু সময় না দিয়ে দাদন ব্যবসায়ী শর্ত দেন উপস্থিত লোকজনের সামনে প্রকাশ্যে নগ্ন হলে টাকা মাফ করে দেয়া হবে। এক পর্যায়ে শফিকুল উপস্থিত লোকজনের সামনে নান্ডা মিয়াকে নগ্ন করে টাকা মাফের ঘোষণা দেন। ঘটনার কিছু দিন পর আবারো টাকার জন্য চাপ দেন শফিকুল । দিনমজুর নান্ডা মিয়া টাকা দিতে না পারায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মারপিট ও লাঞ্চিত করেন তিনি।
বিষয়টি প্রকাশের পর এসপি নাছির উদ্দিন আহমদের দৃষ্টিগোচর হয়। রোববার রাতে পুলিশ নতুন টুপকারচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২জনকে আটক করে। আটকরা হলেন নতুন টুপকার চর গ্রামের আজগর আলী ও উবাইদুল হক বলাই। তবে মূল হোতা দাদন ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ২জনকে আটক করা হয়েছে। নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার নান্ডা মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
#ডেইলি বাংলাদেশ