চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের মামলায় শেরপুরের জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা ও তার তিন সহযোগীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সদর জি আর আমলি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারিন ফারজানা উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তবে আদালতে পাঠানোর নির্দেশের তিন ঘণ্টা পর বিকালে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের সবার জামিন মঞ্জুর করেন।
তারা হলেন- অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা, একই কলেজের প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন, আত্মীয় মো. শেখ জামাল ও মো. হযরত আলী।
কোর্ট পরিদর্শক খন্দকার শহিদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলামসহ অন্য তিনজনের জামিন হয়েছে। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। আদালত প্রাঙ্গণ থেকে তারা জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়নি।
সদর উপজেলার লছমনপুর ঘিনাপাড়া গ্রামের মো. নুর ইসলামের ছেলে মো. মোতালেব মিয়াকে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজে ল্যাব এ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা, প্রভাষক আলফাজ উদ্দিন ও আত্মীয়ের সহযোগিতায় ২০২২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। তিন মাসের মধ্যে চাকরির ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও চাকরি না হওয়ায় মোতালেব মিয়া চলতি বছরের ২৬ মে অধ্যক্ষের কাছে টাকা ফেরত চান। তবে অধ্যক্ষ সহযোগীদের প্ররোচনায় তা দিতে অস্বীকার করেন। ওই ঘটনায় ৭ জুন মোতালেব মিয়া বাদী হয়ে অধ্যক্ষসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শেরপুর সদর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর আসামিরা ১৩ জুন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অর্ন্তবর্তীকালীন জামিন নেন।
কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আসামিরা আমলি আদালতে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জামিননামা দাখিল ও আত্মসমর্পণ করেনি। পরে আদালত বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিকেলেই আবার জামিন মঞ্জুর করেন।