শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডিভোর্সি এক তরুণীকে দুই বছর যাবত ধর্ষণের অভিযোগে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নামে তিন সন্তানের জনককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
বুধবার (২১ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কাপাসিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী তরুণী জানায়, উপজেলার কাপাসিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেন এর ডিভোর্সি কন্যার (২২) সাথে একই গ্রামের তিন সন্তানের জনক জাহাঙ্গীর আলম প্রায় দুই বছর যাবত প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে অবৈধ শারিরিক মেলামেশা করে আসছিল। কিছুদিন আগে ওই তরুণী জাহাঙ্গীরকে বিয়ের কথা বললে জাহাঙ্গীর টালবাহানা করে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তরুণীকে বাড়িতে রেখে তার বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন ঈদের কেনাকাটা করতে শহরে যান। এসময় সুযোগ বুঝে জাহাঙ্গীর ওই তরুণীর ঘরে যায় এবং তার সাথে শারিরিক সম্পর্ক করে।
এদিকে, জাহাঙ্গীরের অবাধ যাতায়াতে এলাকাবাসীর সন্দেহ থাকায় আগে থেকেই তারা নজর রাখছিলেন। ফলে রাত সাড়ে আটটার দিকে এলাকাবাসী মিলে জাহাঙ্গীরকে ওই তরুণীর ঘরে আটকে রাখে। পরে এ নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত হট্টগোল চলে।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সুরাহা না হওয়ায় বুধবার দুপুরে ওই তরুণী বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ বিকেলে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী তরুণীকে বৃহস্পতিবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীরকে শেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হবে।