বন্ধ হচ্ছে না করোনার টিকাদানের প্রথম ডোজ, এ নিয়ে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
এদিকে আজ ‘একদিনে এক কোটি টিকা’ কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি কেন্দ্রে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। নিবন্ধন ছাড়াই এনআইডি, জন্মনিবন্ধন কিংবা মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই টিকা নেওয়া যাচ্ছে। দেশে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের মজুদ আছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ এ গণটিকা কার্যক্রম পরিদর্শনে করেছেন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম।
এ সময় স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, দেশে করোনা টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। আজকে যত সময় মানুষ থাকবেন তত সময় ধরে টিকা দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানাতে চাই রাত হলেও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সবাই টিকা পাবেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যক্রম দেখা হবে, তারপর আলোচনা করে পরপর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশে করোনার গণটিকাদান শুরু হয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এরপর থেকে গত বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত করোনার প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছেন ১০ কোটি ৮ লাখের বেশি মানুষ। আর এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছেন ৮ কোটি ১৭ লাখের বেশি মানুষ।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইন হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
এরপর প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে। ওই ঘোষণার পর দেশের টিকাদানকেন্দ্রগুলোতে ভিড় বাড়তে থাকে। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, ২৬ ফেব্রুয়ারির পরও প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ হবে না। তবে প্রথম ডোজের চেয়ে দ্বিতীয় ও বুস্টার (তৃতীয়) ডোজকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে।
দেশে করোনা পরিস্থিতি প্রায় সাড়ে তিন মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর গত ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে রোগী বাড়তে শুরু করে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের দাপটে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ও হার দ্রুত বাড়তে থাকে।
গত ১৭ জানুয়ারি থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক শনাক্তের হার ২০ শতাংশের বেশি ছিল। এরপর নিয়মিত রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার কমছে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট ১৯ লাখ ৪১ হাজার ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৯৩৬ জন।