রাজনৈতিক দল থেকে পাওয়া খরচসহ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচনে ২৫ লাখ টাকার বেশি খরচ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি সচিব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে ইসি।
এ ছাড়া আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যালট পেপার ছাপানো হবে। নির্বাচনের তিন-চার দিন আগ থেকে সেগুলো জেলা পর্যায়ে যাবে। ব্যালট ভোটের আগের দিন নাকি ভোটের দিন সকালে যাবে, সে সময় এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে।
নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যেদিন হবে তার পূর্ববর্তী ২১ দিনের আগে কখনোই প্রচার-প্রচারণা করা যাবে না। যেহেতু আমাদের ৭ জানুয়ারি ভোট হবে। সে হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার পূর্ব থেকে প্রতীক বরাদ্দের দিন, এই সময়টায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।’
সূত্র জানায়, সম্ভাব্য প্রার্থীর আগাম প্রচার সামগ্রী নিজ খরচে অপসারণের জন্য নিদের্শনা জারি করেছে ইসি। এর আগে আন্তমন্ত্রণালয় সভায় কমিশন থেকে আগাম নির্বাচনী প্রচারণা অপসারণের জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মৌখিক নিদের্শনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
লাভজনক পদে থাকলে পদত্যাগ করতে হবে
লাভজনক হওয়ায় উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং সিটি করপোরেশন, পৌরসভার মেয়রের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত অফিস, প্রতিষ্ঠানের বা করপোরেশন অথবা সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, কর্তৃপক্ষ এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনে চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে পদত্যাগ করতে হবে।
এ ছাড়া ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার) প্যানেল প্রস্তুত করে শনিবারের মধ্যে ইসিকে জানাতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জেলার বাইরে বদলি না করার জন্য পরিপত্র জারি করেছে ইসি।