শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌর-সভার ৯টি ওয়ার্ডে অপেক্ষাকৃত গরীব মানুষের মাঝে করোনা ভাইরাসমুক্ত থাকতে বারবার সাবান দিয়ে হাত দোয়ার জন্য সাবান বিতরন করা হয়েছে।
নালিতাবাড়ী পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ আবুবকর সিদ্দিক এর নিজস্ব অর্থায়নে সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেলে পৌরসভার রাস্তাঘাটে ও বাড়ী বাড়ী গিয়ে প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে সেভলন সাবান দেওয়া হয়। এসময় নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, প্যানেল মেয়র সুরঞ্জীত সরকার বাবলু ও কমিশনারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিদেশ ফেরত দুইজন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তবে তাদের ভেতর করোনা ভাইরাসের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি বলে জানা গেছে। করোনার ঝুঁকি ঠেকাতে উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ মার্চ সিঙ্গাপুর থেকে এবং ১৬ মার্চ থেকে ইতালি নালিতাবাড়ী উপজেলায় নিজ বাড়িতে ছুটি কাটেত আসেন। তবে শারিরীক ভাবে সুস্থ আছেন। পুলিশ খবর পেয়ে ইতোমধ্যে তাদের বাড়িতে গিয়ে আত্মিয় স্বজনের সাথে কথা বলেছেন। এছাড়া, পুলিশের নির্দেশে তারা বাড়িতেই কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। ১৪ দিন পার না হওয়া পর্যন্ত তারা বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫০টি শয্যা প্রস্তুতসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড, ঝিনাইগাতী উপজেলা হাসপাতালে ২০ শয্যা, শ্রীবরদী হাসপাতালে ২০ শয্যা, নালিতাবাড়ীর রাজনগর মা ও শিশু হাসপাতালে ৫০ শয্যা ও নকলার উরফা হাসপাতালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।
শেরপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ সাংবাদিকদের বলেন, ‘করোনা পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসার কারণে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রবাসীদের মধ্যে যদি সর্দি-কাশি, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ শরীরে কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দেয়, তবে তাদের টেলিফোনে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বা সিভিল সার্জনকে জানাতে বলা হয়েছে।