পাহাড়ী জনপদ যেখানে পানির লেয়ার কম এবং প্রাকৃতিক বৃষ্টির পানিও সংরক্ষন করা যায় এই সোলার প্যানেল সিষ্টেম আধুনিক প্রযুক্তি ডাগওয়েল (পাত কুয়া) পদ্ধতি স্থাপন করা হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া গ্রামে। ইতোমধ্যেই কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে সবজি ও বোরো ধান আবাদে জমিতে সেচ দিয়ে উপকৃত হচ্ছেন এলাকার কৃষকেরা।
৩০ জন কৃষক পরিবারের ১৫০ জন উপকারভোগীর মাঝে এই পদ্ধতির মাধ্যমে আবাদী জমিতে বিনামূল্যে সেচ দেওয়া হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে এই পদ্ধতিটি বেশি কাজে দিবে বলে বিএডিসি জানিয়েছে। পদ্ধতিটি স¤প্রসারিত করতে পাহাড়ী জনপদে আরো ২টি নন্নী ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নে এই ডাগওয়েল (পাত কুয়া) স্থাপন করা হবে কৃষি বিভাগ জানায়।
বিএডিসি ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মাটি থেকে ৫৬ ইঞ্চি ফিল্টার ব্যাসে ১২০ ফুট গভীর থেকে ৩শ ওয়াট মতা সম্পন্ন মোট ১৮ ফুট বিশিষ্ট ১২টি সোলার প্যনেলের মাধ্যমে সাবমার্সেবল পাম্পের সাহায্যে রিমোট মনিটরিং সিষ্টেমে এই পানি পাওয়া যায়। স্থিতিশীল পানির স্তর আছে ২০ ফুট লেয়ার, পাম্পিং পানির স্তর আছে ২৯ ফুট। তাছাড়া বৃষ্টির পানিও সরাসরি পাত কুয়ায় চলে যাবে। এছাড়াও ১৮ ফুট উপড়ে রয়েছে ৩ হাজার লিটার ধারন মতা সম্পন্ন পানির ট্যাংক। রয়েছে বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র। সব মিলিয়ে এটির ব্যয় ১০ লাখ টাকা। এটি কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর কাবিটার প্রকল্প হতে ব্যয় নির্বাহে করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শরিফ ইকবাল বলেন, ডাগওয়েল পদ্ধতি একটি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি। সকল প্রকার কৃষি আবাদে পাহাড়ী জনপদের কৃষকের শুষ্ক মৌসুমে এটি বেশি উপকারে আসবে। তাছাড়া যেসব এলাকায় সেচ সংকট রয়েছে সেসব এলাকার কৃষকের অনেক উপকার হবে।