শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার চড়পাড়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে আড়াই মাস আগে বিয়ে হওয়া তাসলিমা খাতুন (১৯) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্র“য়ারী) সকালে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই স্বামী আনিস পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নালিতাবাড়ী পৌরসভার খালভাঙ্গা মহল্লার মোফাজ্জল হোসেন উরফে কেরালুর মেয়ে তাসলিমা খাতুন ও চড়পাড়া গ্রামের সফির উদ্দিনের ছেলে আনিসুর রহমানের (২৫) সাথে আড়াই মাস আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের প্রথম দিকে তাদের সংসার জিবন ভালই চলছিল। কিছুদিন যাওয়ার পর স্বামী আনিসুর রহমান তার স্ত্রী তাসলিমার কাছে যৌতুকের টাকা দাবী করে আসছিল।
গতকাল বুধবার রাতে দুজনই খাওয়া দাওয়া করে নিজ ঘরে ঘুমাতে যায়। পরে রাত তিনটার দিকে আনিস তার পাশের রুমে থাকা তারই মামী তছিরন বেগমকে ফোন করে তাসলিমাকে ডেকে চায়। তখন তছিরন বেগম আনিসুরের ঘরে গিয়ে মেঝেতে পরে থাকা তাসলিমার লাশ দেখতে পায়। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশকে খবর দেয় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ তাসলিমার মরদেহ উদ্ধার করে।
তাসলিমার মা খুকী বেগম জানান, তিন চার দিন আগে জামাই আনিসুর আমার মেয়ে তাসলিমার কাছে ৪ হাজার টাকা যৌতুক দাবী করেছিল। এই টাকা দিতে না পারায় তাসলিমাকে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করত। আমাদের ধারনা আমার মেয়েকে তারা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার উপযুক্ত বিচার চাই। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকেই স্বামী আনিসুর রহমান পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, এটি যৌতুকের জন্য হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে লাশের গলায় দাগ রয়েছে। আমরা লাশ ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর মর্গে পাঠাচ্ছি। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, মেয়ের বাবা মোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।