শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নিভৃত পতিত বাড়িতে নিয়ে মা-মেয়েকে সাতজনে মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পলাশীকুড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ রবিবার (১০ অক্টোবর) সকালে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করার পর অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামের আব্দুল বাছেদ আলীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং আব্দুস সোবহানের ছেলে সাদেক আলী (৩০)।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে শেরপুর সদর উপজেলার বারঘরিয়া গ্রামের জনৈক গৃহবধূ তার কিশোরী কন্যাকে (১৬) সাথে নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলার পলাশীকুড়া গ্রামে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বেড়ানো শেষে শনিবার বেলা এগারোটার দিকে তারা অটোবাইকে করে শেরপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। কিন্তু স্থানীয় এক দালাল ও ওই গৃহবধূর পাড়া-প্রতিবেশি ভাই, মা-মেয়েকে সাথে নিয়ে সারাদিন নালিতাবাড়ী উপজেলার বিভিন্নস্থানে নিয়ে ঘুরাফেরা করার পর রাতে পুনরায় পলাশীকুড় গ্রামে নিয়ে আসে। পরে তাদেরকে কৌশলে ঢাকায় বসবাসকারী পলাশীকুড়া গ্রামের জনৈক উসমানের নির্মাণাধীন জনশুন্য বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নেওয়ার পর স্থানীয় ৭ ব্যক্তি মিলে মা এবং মেয়েকে বাড়ির পৃথকস্থানে নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। রবিবার সকালে ধর্ষণের শিকার মা-মেয়ে পলাশিকুড়াস্থ বাড়ি ফিরে ঘটনা প্রকাশ করলে স্বজনেরা ত্রিপল নাইনে (৯৯৯) কল করেন। এতে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মেম্বার পদপ্রার্থী ও ধর্ষণে অভিযুক্ত গরু ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার (৪২) এবং অভিযুক্ত সাদেক আলীকে (৩০) আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় জড়িত সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, রবিবারর সকালে ত্রিপল নাইন (৯৯৯) থেকে ম্যাসেজ আসার সাথে সাথে আমরা অভিযান চালিয়ে জড়িত দুইজনকে আটক করি। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। থানায় মামলা দায়ের করার পর ভুক্তভোগী মা-মেয়েকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য শেরপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।