শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে মোবাইল ফোনে প্রেমিক পরিচয়ে ডেকে নিয়ে ধানক্ষেতে ফেলে দেশীয় অস্ত্রের মুখে মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণে অভিযুক্ত এক সন্তানের জনক সাইম এবং সহায়তাকারী হিসেবে যুবলীগ নেতা ও ইউপি সদস্যসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ধর্ষিতার মা। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই জনকে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার পশ্চিম রাজনগর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে এক সন্তানের জনক সাইম স্থানীয় রাজনগর রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে তার প্রেমিক পরিচয়ে মোবাইল ফোনে ডেকে বাড়ির কাছের ধানক্ষেতে নিয়ে যায়। কথামতো ওই কিশোরী ধানক্ষেতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সাইম ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে ও ছুড়ি বের করে হত্যার হুমকী দেয়। পরে তাকে একই সময়ে পরপর তিনবার ধর্ষণ করে ছেড়ে দেয়।
বাড়ি ফিরে কিশোরী ভয়ে জড়োথড়ো হয়ে কান্নাকাটি শুরু করে ও মায়ের কাছে ঘটনা খোলে বলে। বিষয়টি শুনে তাৎক্ষণিক প্রতিবেশি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আলী, ধর্ষকের পিতা মজিবর রহমান, ইউনিয়ন যুব লীগের সহ-সভাপতি শাহিনুর ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্যরা গ্রাম্য সালিশে বসেন। পরে ওই সালিশে ধর্ষককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন বিচারকগণ।
এদিকে ধর্ষিতা ও তার মা এ বিচার না মেনে অপরাধীর শাস্তির দাবীতে গতকাল সোমবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ বকুলের কাছে গেলে তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গতকালই অভিযান চালিয়ে সালিশকারী শহিদুল ইসলাম ও খোরশেদ আলমকে আটক করে। তবে অন্য আসামীরা ততক্ষণে পালিয়ে যায়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর মা আফরোজা বেগম বাদী হয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত সাইম, প্রেমিক মাজেদুল, ইউপি সদস্য আব্দুল আলী ও যুবলীগ নেতা শাহিনুর ইসলামসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও ওসি জানান।